রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ার হিন্দু পল্লীতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মূলহোতা সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
র্যাবের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার এসআই সুদীপ্ত শাহীন জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক দেলওয়ার হোসেনের আদালতে সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলামকে হাজির করা হলে সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে ঢাকার টঙ্গী থেকে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সৈকত মণ্ডল ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম রবিউলকে পীরগঞ্জ থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
তাদের দুই জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছিলেন। বিজ্ঞ বিচারক তাদের জবানবন্দি শেষে দুই জনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ৩৮ আসামিকে আদালতের নির্দেশে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আজ রোববার বিকেল ৩টায় রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। আসামিরা কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত না হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আরও ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪ জনে।
এদিকে রোববার বিকেলে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারনে ছাত্রলীগ কারমাইকেল কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন