চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সারা বছর সবজি আবাদ করে থাকেন চাষিরা। ইতোমধ্যে শীতকালীন আগাম সবজি ভরে গেছে আবাদি জমি। ফলনও ভাল হয়েছে। বিভিন্ন আগাম সবজি বাজারজাতে ব্যস্ত চাষিরা। ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম অঞ্চলজুড়ে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বৃহত্তম চট্টগ্রামের সবজির একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয় এই উপজেলাতে। এখানে ১২ মাস নানা ধরণের সবজির আবাদ হয়ে থাকে।
স্থানীয় একজন কৃষি উপ-সহকারী জানান, উপজেলার মধ্যে বেশি সবজি চাষ হয় উত্তর রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর, লালানগর, দক্ষিণ রাজানগর, হোসনাবাদ ও ইসলামপুর ইউনিয়নে। উপজেলার দক্ষিণে সরফভাটা ও পদুয়া ইউনিয়নে ব্যাপক সবজি চাষ হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উল্লিখিত এসব এলাকায় মোটামুটি মাঠে সবজি রয়েছে। যেদিকে নজর পড়ে সেদিকে দেখা মিলছে নানা ধরণের সবজি ক্ষেতের। এর মধ্যে সিম, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পটল, বেগুন, টমেটো, লালশাক, মুলাশাক উল্লেখযোগ্য। সবজি চাষি আব্দুল সামাদ, রফিকুল ইসলাম, নজরুল জানান, এবারের মৌসুমে চলমাান অবস্থায় ভাল ফলন হয়েছে। শীতকালে বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদী। আলী আকবর ও মন্টু লাল জানান, সুযোগ বুেেঝ অসাধু ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজির দাম কমিয়ে দেয়। তখন তারা কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। রাঙ্গুনিয়ায় যদি একটি কোল্ডস্টোরেজ থাকতো কম দামে সবজি বিক্রি না করে সংরক্ষণ করতেন। পরে চড়া দামে বিক্রির সুযোগ পেতেন কৃষকরা।
রাণীহাটের কৃষক লোকমান জানান, এবার তিনি দিনে গড়ে ১০ ঘণ্টা কপি ও সিম চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে বাজারজাত শুরু হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ার আশায় মৌসুমের পুর্বে এসব সবজি চাষ করেছি। আবাহাওয়া অনুকুলে থাকায় তিনি আর্থিকভাবে লাভবানের স্বপ্ন দেখছেন। কৃষক রাজা মিয়া জানান, কর্ণফুলির বালুচরে ২০ শতক জমিতে বেগুন, মুলা চাষ শুরু করেছি। তবে সবজিতে আগাম ফলন ভাল হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সবজির এলাকা হিসাবে সুপরিচিতি। এখানকার সবজির অনেক সুনাম। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম জেলাবাসীর চাহিদার সিংহভাগ পূর্ণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন