মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চালের বাজার অস্থিরতা বিরাজ করছে। মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে মণপ্রতি চালের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বেড়েছে। চালের বাজার এই অস্থিরতায় ক্রেতারা অস্বস্থিতে ভুগছে। শস্যভা-ার হিসেবে পরিচিত বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সিও অফিস রোড সংলগ্ন চালের মোকামে বিভিন্ন চাল ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উৎপাদনের সেন্ডিকেট সক্রিয় থাকায় চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। চালের বাজারের এই অস্থিরতার কারণে ক্রেতারা চরম অস্বস্তিতে ভুগছে। উপজেলার পুরাতন বাজারে চাল কিনতে আসা সরদারপাড়ার সোলায়মান আলী ভাদু জানান, কোরবানির আগে প্রতি কেজি মোটা চালে ২ টাকা কমেছিল। এখন তা আবার বেড়েছে। মোটা সেদ্ধ চাল কোরবানির আগে ২৮ টাকা ছিল, এখন তা ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। স্থানীয় এক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুুরেন্ট দোকান মালিক জানান, ২ মাস আগে যে আতপ চালের বস্তা (৫০ কেজি) ছিল দেড় হাজার টাকা, এখন তা ১ হাজার ৭শ’ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২ মাস আগে জিরা জাতের ধানের বাজার ছিল ৭০০ টাকা, এখন তা ৯২০ টাকা। বিআর-২৮ জাতীয় ধানের বাজার ছিল ৬০০ টাকা, এখন তা ৮০০ টাকা। মোটা হাইব্রিড জাতীয় ধানের বাজার ছিল ৫০০ টাকা, এখন তা ৭৫০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, মোটা চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে এটা সত্য, এর জন্য তিনি দাবি জানান, কৃষকদের বাঁচাতে হলে মিলারদের পার্শ্বেই কৃষকদের রাখতে হবে। মিলারদের ব্যবসার বিকল্প না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের মিলারদের সাথে রাখলে বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। এদিকে সরকার হতদরিদ্রদের জন্য খোলাবাজারে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি করায় এবং ১৫ টাকা দরে কেজি চাল বিক্রির ঘোষণা করায় চালের বাজারে আরো অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ সামছুদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত বছরের তুলনায় এবার চালের বাজার বেড়ে গেছে। এতে ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের কোনো লাভ হচ্ছে না। মজুদদাররাই ফায়দা লুটছে। তবে ১৫ টাকা কেজিতে খোলাবাজারে চাল বিক্রির ঘোষণায় মোকামে মোটা সেদ্ধ চালের বাজারে যে ঊর্ধŸগতি ছিল তা থেমেছে। এখন চালের বাজার অনেকটা থমথমে। আবার কেউ কেউ বলেছে, নতুন ধান কৃষকের গোলায় উঠা পর্যন্ত সরকার যদি ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উপর শুল্ক কমায়, তবে সাধারণ মানুষ কম দামে চাল ক্রয় করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন