শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট

প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দিনাজপুর অফিস ও হিলি সংবাদদাতা

বৃহত্তর দিনাজপুর-রংপুরের মাদক ও চোরাচালানের একমাত্র প্রধান রুট হচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট। প্রতিদিন এ রুট দিয়ে আসছে বন্যার পানির মতো নেশাজাতীয়  মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য। এ রুট দিয়ে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য নিরাপদে পাচার হচ্ছে। মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে মরণ নেশা ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ভারতীয় দামি মদ। এসব মাদকদ্রব্য  প্রকাশ্যে ও গোপনে পাচার হয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছেন না। এসব নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য দিনাজপুরের হিলি, বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্ত পথ দিয়ে পাচার হয়ে আসছে। সীমান্তপথে পাচার হয়ে আসা মাদকদ্রব্য অটোবাইক, অটোরিকশা, অটোভ্যান, বাইসাইকেল ও মোটর সাইকেলযোগে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, চড়ারহাট, দলারদরগা, ধিওড়, মতিহারা, ভাদুরিয়া, নবাবগঞ্জ সদর, দাউদপুর, আফতাবগঞ্জ, কাচদহ, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার দুধিয়াবাড়ী, ন্যাংড়ারঘাট, শালপাড়ারঘাট, জন্তিপুর ঘাট, জয়তের ঘাট, কুলানন্দপুর ঘাট, কুমারপুর ঘাট হয়ে রংপুরের চতরাহাট, খালাশপীর, ভে-াবাড়ীও বড় দরগা হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাচার হচ্ছে। মোটা অংকের মজুরির বিনিময়ে এক শ্রেণীর ব্যক্তি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে। অপরদিকে, দিনাজপুর-বগুড়া ও হিলি-বগুড়া সড়ক দিয়ে কোচ, ট্রাক, বাস, মাক্রবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে ঘোড়াঘাটের ডুগডুগি হাট, বলাহার হাট, ওসমানপুরসদর, ঘোড়াঘাট পৌর সদর, হরিপাড়া হাট, বলগাড়ী হাট, রানীগঞ্জ, বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম ও মিশনে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার এসব মরণ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য আনা হচ্ছে। সেখান থেকে গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ সদরসহ বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছে। গভীর রাত হলে মাদক ব্যবসায়ীরা এসব স্থান থেকে দূরপাল্লার নৈশ্যকোচ মাল বোঝাই ট্রাক, মাইক্রোবাসযোগে রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ও রাজধানীর কাছাকাছি জেলাগুলোতে পাচার করা  হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, নৈশ্যকোচের চালকের সিটের নিচে বিশেষ কৌশলে তৈরি করা বক্সে করে এবং মালবাঝাই ট্রাক ও মাইক্রোবাসযোগে পাচার করা হচ্ছে। এক শ্রেণীর বিত্তবানরা এসব কারবারে লিপ্ত। বরাবরই এরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। প্রতিদিন উল্লিখিত স্থানে রীতিমত নেশাদ্রব্যের আড়ৎ খুলে বাজার বসে। সেখানে লোকজন আড়ৎ খুলে বসেছে। নেশাদ্রব্য কারবারীদের সাথে কতিপয় বিশেষ ব্যক্তির অলিখিত মাসোয়ারা চুক্তি রয়েছে। চুক্তির বরখেলাপ হলে সংশ্লিষ্ট কারবারীর মালামাল আটক করা হয়। এসব নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য শুধু এলাকার বাইরেই পাচার করা হয় না, স্থানীয় চাহিদার যোগান দেয়া হয়। এসব এলাকায় হাত বাড়ালেই ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল ও গাঁজা অনায়াসেই পাওয়া যায়। যার কারণে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও উঠতি বয়সের যুবকেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- বাড়ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন