বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা দাবি করেন, সরকার মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তারা কেন মানবিক হলেন না? আমরা অসুস্থ হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিই। অনেকেই নেয়। অথচ একটা দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তাকে বিদেশে যেতে দেবে না। আসল কথা হলো, তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রত্যেক নেতার বিরুদ্ধে গড়ে ৩৫০টি করে মামলা রয়েছে। একদিনে কয়েকটি মামলায় হাজিরা থাকে তাদের। হাজারের বেশি নেতাকর্মী গুম, ৫০০-এর বেশি খুন হয়েছে। মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা শতাধিক। কোনো এলাকায় মামলা হলে, কে কে আসামি হবে সেটা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। তারপর আবার ৫০ জনের মতো থাকে অজ্ঞাত, যেন কেউ বাদ পড়লে তাদের ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সাম্যবাদী দলকে যেতে হয়েছে সামরিক সরকারের আমলে। তাই এই দলের জন্য আমাদের শুভ কামনা ও ভালোবাসা একটু আলাদা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকার বিনা ভোটে নির্বাচিত। তাদের ভোট লাগে না। এজন্য যারা তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায়, তারাও সাহস করে না। কারণ তারা জানে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জিততে পারবে না। তাই আমরা দেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যোগ্য, সাহসী নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন চাই। বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ, যোগ্য ও সাহসী নির্বাচন কমিশন দরকার। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এ ধরনের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। আমাদের দেশের নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতেও কেউ আগ্রহী না। দেশে কোনো নির্বাচন নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন