ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪২ রান তাড়া করাটা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু অসম্ভবও ছিল না। প্রতিপক্ষদের বোলিং আক্রমণ রান তাড়াটা কঠিনই করে তুলল বাংলাদেশের জন্য। জয়ের খুব কাছে পৌঁছেও লক্ষ্য থেকে দূরে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টানা তৃতীয় ম্যাচে হেরে বিদায় নিলো মাহমুদউল্লাহরা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩ রানের এই হারটা মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। যা নিয়ে ক্ষোভ আর সমালোচনায় মেতে ওঠেন সামাজিক মাধ্যমে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টানা তৃতীয় ম্যাচে হেরে বাংলাদেশের বিদায়ে আশাহত হন গ্যালারিভর্তি বাংলাদেশি দর্শকরা। কারণ তাদের সমর্থন ও অনুপ্রেরণা, ক্যারিবীয়দের বাজে ফিল্ডিং, বাজে বোলিংও অনুপ্রেরণা হতে পারেনি মাহমুদউল্লাহদের জন্য।
ফেসবুকে রাইহান আফ্রিদি লিখেছেন, ‘‘আজকের ম্যাচ হারাটা খুবই দুঃখ জনক। শুরু থেকেই বাংলাদেশ দাপুটে খেলা দিচ্ছিল। গেইল-পোলার্ড দের মত বিধ্বংসী ব্যাটারদের কাবু করে রেখেছিল। আবার লিটন দাসও বড় স্কোর এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু লম্বা দেহী হল্ডার অস্বাভাবিক ক্যাচটা নিয়ে আমাদের বাড়া ভাতে ছাই দিছে। ওয়েলডান বাংলাদেশ ।’’
সুমন আরজু লিখেছেন, ‘‘কোন কুক্ষণে আল্লাহ আমারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত বানাইছিলো তা আল্লাহ মালুম, কিন্তু এই যে লাগাতার হার হজম করার যে কী প্যারা তা আমি ভালোই মালুম করি, ছ্যাঁকারে টোটাল ছ্যাঁকা।’’
ক্ষোভ থেকে সাঈদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘আইসিসির উচিত, বাংলাদেশের কাছ থেকে টি-২০ ও টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া।বিশেষ করে,টি -২০ ফরমেটের নিজস্ব স্বকীয়তা ও অালাদা সৌর্ন্দয্য নষ্টের কারনে এই ... দলের ওপর ৫০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দাবি করছি।’’
এএইচ আল আরিফ লিখেছেন, ‘‘পুরানের স্টাম্পিং আর ফিজের লাস্ট ওভার টাই ডিসাইডার হয়ে গেছে। কিছু করার নেই আমাদের গালাগালি করলেও আগামী ম্যাচে ঠিকি খেলা দেখতে সবাই বসবেন। কারন মনের ভিতরে কোথাও একটা তাদের জন্য ভালোবাসা আছে।’’
সমালোচনা করে অনুমপ হাল্দার লিখেছেন, ‘‘সাকিব আর মুশফিক কোন বড় তীর মারলো বাংলাদেশের হয়ে? যারা কাল উপদি লিটন দাসকে নিয়ে নানা কথা বলছিলেন তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।তাদের উচিত এই দুইজনকে নিয়ে ট্রল করা। কিন্তু ..এখানে শুধু লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের মতো ছেলেদের দ্বারা পান থেকে চুন খসলেই কেবল কথা কিংবা ট্রল হয় ।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন