বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ইতিবাচক আলোচনায় নিযুক্ত: মঈদ ইউসুফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৩১ পিএম

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ বলেছেন, যে অবিশ্বাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে ছায়া ফেলেছে, তা দূর করতে দুই দেশ ইতিবাচক আলোচনায় নিযুক্ত রয়েছে।

ভয়েস অফ আমেরিকা রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইউসুফ এই বিষয়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান একটি সংঘর্ষের পথে রয়েছে এবং এখান থেকে তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যানের সাম্প্রতিক ইসলামাবাদ সফরের কথা উল্লেখ করে ইউসুফ বলেন, ‘কিছু অবিশ্বাস আছে যা উভয় পক্ষকেই কাটিয়ে উঠতে হবে, এবং আমরা তা করার চেষ্টা করছি, এবং সেই কারণেই তিনি (শেরম্যান) এসেছেন।’ তিনি বলেন, উভয় দেশ ‘একটি সুসমন্বিত উপায়ে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং কোন বড় সঙ্কট নেই।’

চলতিই সপ্তাহের শুরুতে, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স ফর পলিসি কলিন কাহল মার্কিন সিনেট প্যানেলকে বলেছিলেন যে, পাকিস্তান চায় না আফগানিস্তান তাদের বা অন্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠুক। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদেরকে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশাধিকার দিয়ে চলেছে। সেই অ্যাক্সেস খোলা রাখার বিষয়ে কথোপকথন প্রয়োজন।’

নিরাপত্তা উপদেষ্টা কিছু সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, কাবুলে তালেবানের বিজয় আবারও পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার – আল্লাহর অনুগ্রহে - সর্বদা নিরাপদ ছিল এবং সর্বদা নিরাপদ থাকবে। যদি কেউ এটি নিয়ে উদ্বেগে থাকতে চায়, তবে সেটি তাদের বিষয়।’

কিন্তু বেশ কয়েকজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন যে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন জোট বাহিনীর প্রত্যাহার পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার সম্পর্কের রাজনৈতিক গণনাকে বদলে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যকলাপের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের উপর ইসলামাবাদকে কম নির্ভরশীল করে তুলেছে। সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব এবং সিআইএ প্রধান লিওন প্যানেটা অবশ্য বলেছেন যে, মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক সবসময়ই জটিল ছিল।

‘আমরা তাদের সাথে একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করব, বিশেষ করে যখন আল কায়েদা পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় অবস্থিত ছিল,’ প্যানেটা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে সিআইএ পরিচালক হিসাবে তার সময় সম্পর্কে বলেছিলেন। ‘যতক্ষণ আমরা তাদের অবহিত করেছিলাম, যতক্ষণ আমরা তাদের সাথে কাজ চালিয়েছিলাম, তারা আমাদের সহযোগিতা করেছিল।’ সূত্র: ডন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন