চরফ্যাশন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা
চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় মৌজার ২০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছেলে ওসি (বরিশাল) কোতোয়ালি থানায় কর্মরত থাকায় ক্ষমতার দাপটে এই জমি দখল হচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওমান প্রবাসী মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার প্রায় তিন বছর পূর্বে চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় মৌজার ১৪৮নং খতিয়ানে ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন বাচ্চু গংদের কাছ থেকে ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর ওই প্রবাসীর ভোগদখলীয় সম্পত্তির ওপর কুদৃষ্টি পড়ে স্থানীয় অপর বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম গং। মফিজুল ইসলামের ছেলে আওলাদ হোসেন মামুন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ বিভাগের ওসি হিসেবে কর্মরত। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানকালে সেখানকার মানুষ মফিজুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে ভুমিদস্যুবৃত্তির অনেক অভিযোগ তুলে ধরেন। তারই ধারাবাহিকতার শিকার ওমান প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম মিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত তিন বছর পূর্বে চরফ্যাশন পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড আদর্শপাড়ায় অবস্থিত বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও আ.লীগ নেতা আমির হোসেন বাচ্চু গংদের কাছ থেকে ৩৮১৫, ৩৮১৬, ৩৮১৭, ৩৮১৮ ও ৩৮১৯ নং খতিয়ানভুক্ত ২০ শতাংশ জমি ৮০৪নং রেজিস্ট্রি দলিলমূলে ক্রয় করেন। যার নামজারি ও জমা-খারিজ মোকদ্দমা নং ৬৬০২-এফ/১৩-১৪এর মাধ্যমে উক্ত ৫টি দাগ গ্রহীতার নামে ১৯২নং খতিয়ান হিসেবে সৃজিত হয়। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমি নিজেদের দাবি করে স্থানীয় অপর বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম গংরা সিরাজ মিয়ার ক্রয়কৃত ওই সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। অনুসন্ধানকালে দেখা গেছে, ওই জমিতে জোরপূর্বক বালি ভরাটের কাজ চালাচ্ছে। সেখানে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা মফিজুল ইসলামের ছেলে ওসি আওলাদ হোসেন মামুন স্যার ও হারুন মিয়ার নির্দেশে বালু ভরাটের কাজ করছি। এদিকে জোরপূর্বক জমি দখলের পাঁয়তারাকালে জমির মালিক পক্ষ চরফ্যাশন থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ প্রশাসন অবৈধ দখল প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দেন। তবুও প্রশাসনের ওই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত ৪ অক্টোবর প্রবাসী সিরাজ মিয়ার ওই জমিতে বালু ভরাটের কাজ করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মফিজ মিয়ার পুত্র ওসি আওলাদ হোসেন মামুনের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই হারুন ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন এবং দখল সন্ত্রাস সম্পর্কে ওসি আওলাদ হোসেন মামুনের ভাই হারুনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনো প্রকার সদুত্তর দিতে পারেননি। বর্তমানে এ ঘটনাটি চরফ্যাশনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও উক্ত জমি নিয়ে চরফ্যাশন সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটেলম্যান অফিসে মোঃ শাহাজান গংরা মামলা ও আপত্তি দিলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ প্রকৃত জমির মালিকদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন