বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মানব পাচারকারীর প্রতারণার শিকার ৩ পরিবার

প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা

নওগাঁর আত্রাইয়ে মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তিভোগী। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত খোদাবক্স সরদারের পুত্র মো. লোকমান হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত শেখ আরবুল্লার পুত্র শেখ আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ও পার্শ¦বর্তী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ দরিদ্র পরিবারের লোকজনদের কম খরচে বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধভাবে গোপনে মানব পাচারের ব্যবসা করে আসছিল। সম্প্রতি ভুক্তভোগী উপজেলার রসুলপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের পুত্র মো. মামুন (৩০), শ্রী নিরেন্দ্রনাথ হালদারের পুত্র শ্রী জিতেন (২৫) ও পার্শ্ববর্তী রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর উত্তরপাড়া মৃত কফির উদ্দিনের পুত্র মো. আইজার ম-ল (৫০)। ইরাক পাঠানোর কথা বলে সবার কাছ থেকে চুক্তি মোতাবেক গত ৩ এপ্রিল ২১ লক্ষ টাকা নেয়। বিগত দুই বছর ঘোরানোর পর গত ৩০ আগস্ট সবাইকে আলমগীর তার পাতানো ফাঁদে ফেলে ইরাকে পাচারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাদেরকে আলমগীর তার পাচার চক্র দলের সহায়তায় ইরাকে একটি গোপন স্থানে জিম্মি করে রাখে এবং তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন ও টাকা না দিলে তাদের চোখ, কিডনি বিক্রয় করা হবে বলেও ভয় দেখিয়ে তিনজনের পরিবারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় উপায়ন্তর না দেখে ভুক্তভোগীর পরিবার গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেদের বাঁচাতে আবারো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু তারপরও তারা মানব পাচার চক্রের হাত থেকে বাঁচতে পারে না। কিছুদিন পর আবারো তাদেরকে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীর পরিবার দিশেহারা হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের পরিবারের এখন একটাই দাবি, তাদের প্রদানকৃত অর্থ ও সন্তানদের সুস্থ শরীরে ফিরে পেতে এবং প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের সবার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয় না এবং তারা সকলে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুদ্দোজা অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় শেখ আনোয়ার গ্রেফতার হয়েছে। বাকি শেখ আলমগীরসহ আসামি শেখ জাহাঙ্গীর, মো. ইয়াকুব আলী পলাতক রয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন