যশোর শহরে আশিকুল ইসলাম আশিক (২৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে।
গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সোমবার (১ নভেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অপারেশন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। এরা হচ্ছে, শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের পপি কটেজের হাসিব উদ্দিন খান (২০) ও শংকরপুরের আকাশ মাহমুদ রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা (২০)। আটককৃতদের বয়স কম। ঘটনায় জড়িতরা একটি কিশোর গ্যাং এর সদস্য, যা পরিচালিত করে ক্ষমতাশালীরে ভাইপো রাজিব চাকলাদার। ভাইপোকে বাচাঁতে তাৎক্ষনিক দুইজন কে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীর পরিবার জানান ঘটনার সাথে প্রায় ৮/৯ জন জড়িত ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাত আশিককে কৌশলে কাজীপাড়া আবু তালেব সড়কের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (মক্তব স্কুল) সামনে ডেকে আনে তারই পরিচিত কয়েকজন। এরপর একটি বিষয় নিয়ে প্রথমে বাকবিতন্ডা ও পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করে উঠতি বয়সের ওই পরিচিত সন্ত্রাসীরা। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় ঘটনায় জড়িতরা। রাত ১১টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজন ও স্থানীয়রা। প্রচন্ড রক্তক্ষরণে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই ডাক্তাররা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এদিকে এ ঘটনায় রবিবার (৩১ অক্টোবর) ভুক্তভোগী আশিকের বাবা ক্ষমতাশালীদের ভয়ে কোন মামলা করতে না পারলে, আশিকের মা আবিরন নেছা তপু থানায় মামলা করেছেন। এজাহারে ১ নং আসামী রাজিব সে পান্নু চাকলাদারের ছেলে। এর আগে পুলিশ তাৎক্ষনিক তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত কয়েক উঠতি সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করে। এছাড়া আটক করে উপরে উল্লেখিত হাসিব ও আকাশকে।
এ ব্যাপারে যশোর কেতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর তদন্ত শেখ তাসমীম আলম জানিয়েছেন, হত্যাচেষ্টা ঘটনায় জোরালো তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনায় আরো কারা জড়িত খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ঘটনার পেছনে কি রয়েছে এবং কেনো এই হত্যাচেষ্টা সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন