ভালো দামের আশায় শীতকালে সবজি আগাম বাজারে তুলতে জয়পুরহাটের কৃষকরা বাঁধাকপি চাষ শুরু করেছেন। শীতকালীন এই জনপ্রিয় সবজি চাষে উৎপাদন খরচ এবং পরিশ্রম দু’ই কম। লাভ অনেক বেশি। তাই আগাম জাতের বাঁধাকপি পরিচর্যায় ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। বাজারে আগাম জাতের বাঁধাকপির চাহিদা বেশ ভালো থাকে। দামও পাওয়া যায় ভালো। আগাম জাতের প্রতিটি বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা যায়। ভালো লাভের আশায় স্থানীয় কৃষকরা এখন বাঁধাকপির ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করতে চার হাজার চারা রোপণ করতে হয়। এক বিঘা জমিতে হালচাষ, নিরানী, সার এবং ওষুধ প্রয়োগসহ সব মিলে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় বাঁধাকপি বিক্রয় করা যায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় লাভ থাকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের সিফাত উদ্দিন বলেন, গত বছর তিনি ১৬ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ করে, সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। এবারও লাভের আশায় বুক বেঁধে তিনি সোয়া এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। বাঁধাকপির আগাম বাজার জাতের চিন্ত মাথায় রেখে, এবার তিনি আশ্বিন মাসের শুরুতেই তার গ্রামের পুরানাপৈল মাঠে ৪০ শতক জমিতে বাঁধাকপির চারা লাগিয়েছেন। এখন সেগুলোর পরিচর্যা করছেন। তার বিশ্বাস, পৌষের শুরুতেই এসব সবজি বাজারে তোলা সম্ভব হবে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, জয়পুরহাট জেলায় প্রায় সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়। তবে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করতে পারলে, দাম ভালো পাওয়ায় সম্ভব। যাহোক, বাঁধাকপি চাষে পরিশ্রম এবং উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম, এ সবজি আগাম বাজারজাত করতে পারলে, ভালো দাম পাওয়া সম্ভব। সে লক্ষ্যে কৃষকরা এখন বাঁধাকপির ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ, বিশেষ করে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন