নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে আগামী ১১নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৪টি ইউনিয়নেই আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থীর তুলনায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোটের দিক দিয়ে শক্ত অবস্থান থাকায় নির্বাচনী সহিংসতার আশংকা করছেন বিজ্ঞ মহল। উপজেলার কাকড়াজান,বহেড়াতৈল,যাদবপুর,বহুরিয়া এই চারটি ইউনিয়নে ১১নবেম্বর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাকড়াজান ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত(নৌকা) প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগ ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ,বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.দুলাল হোসেন। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুইজন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আটজন,সাধারন সদস্য পদে ৩২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। বহেড়াতৈল ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ওয়াদুদ হোসেন,স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগ সদস্য স্থানীয় সাবেক এমপি’র ফুফাত ভাই গোলাম ফেরদৌস। এ ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো.আলতাব হোসেন(লাঙ্গল),ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী কামরুল হাসান(জিসু)হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও নৌকা ও আনারস প্রতীকেই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধিতা হচ্ছে। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩জন,সাধারন সদস্য পদে ৪০জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যাদবপুর ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্যর ছোট ভাই এ.কে.এম আতিকুর রহমান(নৌকা),বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা খন্দকার বজলুর রহমান(আনারস),স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.জাহিদুল ইসলাম(মোটর সাইকেল)। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনজন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২জন ও সাধারন সদস্য পদে ৩৩জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। বহুরিয়া ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগ সভাপতির ছেলে গোলাম কিবরিয়া সেলিম(নৌকা),বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.লীগ নেতা সরকার নূরে আলম মুক্তা(মোটরসাইকেল),আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.লীগ নেতা নিরঞ্জন বিশ^াস(আনারস)। এ ইউনিয়নে নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা হচ্ছে বলে সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনজন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সাতজন ও সাধারন সদস্য পদে ৩১জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আগামী ১১নবেম্বর ইউপি নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান একজন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তিনজন এবং সাধারন সদস্য নয়জন নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় নৌকা বিরোধী ভোটারগন বিদ্রোহী প্রার্থীদের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নেই ভোটের দিক দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের শক্ত অবস্থান। সঙ্গতকারনেই নির্বাচনী সহিংসতার আশংকা করছেন বিজ্ঞমহল। ইতিমধ্যে কাকড়াজান ইউনিয়নের একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটে গেছে। এছাড়া প্রতিনিয়তই ছোট-খাট ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ আতাউল হক বলেন,নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠ,নিরপেক্ষ হবে এবং যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা দমনে প্রশাসন তটস্থ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন