বরাবরের মতো বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদল অংশ না নেয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের দুইটি অংশ আলাদা প্যানেলে নির্বাচন করছে। আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা শিক্ষকদের কাছে নিজেদের ইশতেহার তুলে ধরছেন। দিচ্ছেন নানা রকম প্রত্যাশা। গত মঙ্গলবার নীলদলের দুইটি অংশ পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
নীলদলের আবুল হোসেন ও লুৎফর রহমান গ্রুপের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়, তাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে পিএইচডি শিক্ষাছুটি ৫ বছরে উন্নীতকরণ, ইনক্রিমেন্ট সুবিধা নিশ্চিতকরণ, চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল, শিক্ষকদের জন্য ইউজিসি থেকে নতুন পদ সৃষ্টি করাসহ নির্বাচিত সদস্যরা প্রশাসনিক পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। এ গ্রুপে সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন।
অন্যদিকে, নীলদলের আশরাফ-উল-আলম ও আনোয়ার হোসেন গ্রুপের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়, নির্বাচিত হলে শিক্ষক নিয়োগ পদোন্নতিতে মানসম্মত বিধি প্রণয়ন করা, সান্ধ্যকালীন কোর্স পুনরায় চালু করা, গবেষণা স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ড চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করা, শিক্ষকদের জন্য উন্নত ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নসহ শিক্ষক সমিতি থেকে চলমান কাজকে অব্যাহত রাখবেন তারা। এ গ্রুপ থেকে সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. আশরাফ-উল-আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন। বিগত কয়েকবছর ধরে প্যানেলটিকে সংখ্যাগরিষ্টভাবে নির্বাচনে জয়যুক্ত হতে দেখা গেছে।
এদিকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করলেও বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের ভোট নীলদলের দুইপক্ষই নিজেদের দিকে টানছেন বলে জানা গেছে। শতাধিক বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ভোট নির্বাচনে প্লাস পয়েন্ট বলে প্রতিবছরই এই ভোটব্যাংকে বিশেষ নজর থাকে আওয়ামীপন্থী দুই গ্রুপের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন