নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী আবাদপুকুর থেকে চাঁপাপুর হয়ে বগুড়া চলাচলের একমাত্র সড়কটির মাঝে মাঝে বড় বড় খানা-খন্দকে ভরপুর। দেখে মনে হবে এ যেন রাস্তা নয় ছোট ছোট পুকুর। এতে প্রতিনিয়তই যাত্রী সাধারণদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আর ঘটেই চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ আবাদপুকুর থেকে চাঁপাপুর হয়ে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। একমাত্র এই সড়কটির অনেক স্থানে মাঝে মাঝে পাকা, ইট ও বালু উঠে গিয়ে প্রায় ১ হতে ২ফুট পর্যন্ত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই সব গর্তে পানি জমে তৈরি হয় ছোট ছোট পুকুরে। পুরো রাস্তার মাঝে মাঝে পাঁকা উঠে যাওয়াই বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে এই সব বড় বড় গর্তের। দীর্ঘদিন যাবত এই সব বড় বড় গর্ত সহ রাস্তার কোন সংস্কারের কাজ না করায় আজ রাস্তা নামের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উপজেলার এই সব প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের প্রতিদিনই নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে মরণ ফাঁদ নামক এই রাস্তাটিই ব্যবহার করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অত্র এলাকাটি ধানের জন্য বিখ্যাত বলে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাঝারি ও বড় বড় যানবাহন চলাচল করার সময় এই সব গর্তে যানবাহন উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অচিরেই যদি এই রাস্তার সংস্কারের কাজ করা না হয় তাহলে রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনুপযোগি হয়ে পড়বে বলে স্থানীয়দের আশংকার। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গির হোসেন, রহিম, কামালসহ অনেকে জানান, এই সড়কটির কাজ নি¤œ মানের হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে আজ এই খানা-খন্দকে ভরে গেছে। সড়কটির কার্পেটিংয়ের কাজের এক বছর পার না হতেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে আজ রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান মিঞা জানান, এই সড়কের সংস্কারের জন্য উপড়মহল বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন