রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চিংড়ি ঘেরকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার অফিস

মহেশখালীর হেতালিয়া মৌজার ৬৯ নং ফোল্ডারের ৩ নং স্লুইস গেট ও আশপাশের চিংড়ি ঘেরকে কেন্দ্র করে মারাত্মক সহিংসতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ওই স্লুইস গেট পরিচালনা এবং চামারপারি পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আবু ইব্রাহীম মহেশখালী থানায় দায়ের করা এক ডায়েরী থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ২০১২ সাল থেকে তিনি কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ওই স্লুইস গেট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। ওই স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকার উমখালী ও গেতালিয়া চিংড়ি ঘেরে ২/৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে চিংড়ি চাষ করে আসছেন। এখন সেখান থেকে চিংড়ি ধারার সময় হয়েছে। এলাকার চিহিৃত একদল সন্ত্রাসী অ¯্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে স্লুইস গেট ও চিংড়ি ঘের দখল এবং কোটি টাকার চিংড়ি লুট করার পাঁয়তার করছেন বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। ডায়রীতে তিনি গত ৭ অক্টোবর ২০১৬ ওই সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি দিয়েছেন বলেও জানান। ডায়রীতে ফেরদৌস পিতা নূরুল কবির, মোস্তফা কামাল পিতা নূরুল কবির, ফিরোজ ওহিদ শামিম, কায়সুল কবির সোহেল, জাগির হোসেন, আক্তার হোসেন, আহসান উল্লাহ, মোঃ জসিম, সোলতান, আজিজুল হক, আবুল হোসেন, মোঃ আলম, নূরুল কবির, মোঃ ফিরোজ, মোঃ একরাম, মোঃ রশিদ, আবুল কালাম, রহমত উল্লাহ, মোঃ ইব্রাহীম ও মোঃ লোকমানের নাম উল্লেখ করা হয়। অনুসন্ধানে দেখাগেছে, ৮/২/২০১৪ সালেও উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহায়তায় সন্ত্রাসীরা ওই চিংড়ি ঘের এবং লবণ মাঠে হামলা চালিয়ে ৩/৪ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছিল। তাদের লুটপাট থেকে রেহাই পেতে আবু ইব্রাহীম হাইকোর্টে ১১৯১৫/১৪ নং একটি রিট পিটিশন করেন। এতে মোস্তফা কামাল গং ও ওসি মহেশখালীকে ইনজাংশন আদেশ প্রদান করে। ওই আদেশ এখনো বহাল আছে। ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাকি মোস্তফা কামাল গং ১৬/০৬/২০১৫ ইং ওই চিংড়ি প্রজেক্টে আবারো হামলা চালায়। ৩১/০৮/২০১৫ সালে একই কায়দায় ওই সন্ত্রাসীরা চিংড়ি লুটপাটের সময় ৬৯ নং ফোল্ডারের ৩ নং স্লুইস গেটে কর্মরত শ্রমিক মোজাম্মেল হক কালুকে খুন করে এবং সিআইডির তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন