আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামালপুরের শরিফপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম লিটনের ৯টি নির্বাচনী প্রচারনা কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানবন্ধন ও করেছে রফিকুল ইসলাম লিটনের সমর্থকরা।
গত সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত শরিফপুর ইউনিয়নের মুকুলবাজার, তালতলা, বাদেচান্দি, টেংগরপাড়া, বাইনপাড়া, তেতুলতলা, খাটাপাড়া, সুরুজ বাজারসহ মোট ৯টি নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন অটোরিকশা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম লিটন।
এর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শরিফপুরের গোদাশিমলা বাজারে সাধারণ জনগনের ব্যানারে এক মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।
ঘণ্টাব্যাপী চলা মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাদল মিয়া, খোকা মিয়া ও অটোরিকশা প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম লিটনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, গভীর রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলমের ৬০ থেকে ৭০জন কর্মী একটি মোটরসাইকেলের বহরে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শরিফপুরের ৯টি পয়েন্টে আমার নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। আসন্ন নির্বাচনে একটি অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে অরাজকতা তৈরি করা এবং ভোটারদের মনে ভয় ঢুকিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়। তিনি অতি দ্রুত হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানান।
এদিকে একসাথে ৯টি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় সবার মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক, থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পুরো ইউনিয়নজুড়ে। মানবন্ধনে শরিফপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার সাধারণ জনগন অংশগ্রহন করেন।
তবে এবিষয়ে শরিফপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলম আলী বলেন, আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী লিটন হেরে যাবেন বুঝতে পেরে তারা নিজেরাই নিজেদের কেন্দ্র ভাঙচুর করছে। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও জনগনের সামনে ছোট করার জন্য তারা এমন কর্মকান্ড করছে। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন