আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বালিয়াপাড়া এলাকায় লিজকৃত সম্পত্তি প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মো. শহিদুল্লা মোল্লা তার নিজ বসতবাড়ির পূর্ব পাশের নিজ ভূমিসহ ২৮১ শতাংশ সম্পত্তি (পুকুর) অন্তত ৬০ বছর ধরে মাছ চাষ ও ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের ২৯ মে তৎকালীন আড়াইহাজার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই সম্পত্তি প্রকাশ্যে ৩ বছর মেয়াদে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। তখন মো. শহিদুল্লা মোল্লা বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা ৩৩৬/৯৪ দায়ের করেন। ওই মামলার শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত নিলাম বিজ্ঞপ্তির আদেশ বাতিল করে শহিদুল্লা মোল্লাকে সহশরিক হিসাবে লিজ দেয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ১৪২১ বাংলা সন পর্যন্ত আড়াইহাজার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হতে ডিসিআর গ্রহণ করে লিজ নেন এবং চলতি বছর ৪ সেপ্টেম্বর ১৪২৩ বাংলা সন পর্যন্ত লিজ নবায়নের জন্য পুনরায় আবেদন করেন। শহিদুল্লা মোল্লা জানান, আবেদনের পরও তার লিজকৃত সম্পত্তি পুনরায় নবায়ন না করে নানা টালবাহানা শুরু করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এ বিষয়টি আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেনকেও অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বোয়ালমারী থানার ফরিদপুরে কর্মরত এসিল্যান্ড ও বালিয়াপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম জামানের পরামর্শে গত ২১ সেপ্টেম্বর বালিয়াপাড়া গ্রামের কিবরিয়া, মাসুদ, মমিন, মনির, গিয়াসউদ্দিন, দায়েন, ইছব, মজিবর লিজকৃত পুকুরটি জোরপূর্বক দখল নিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তারা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে শহিদুল্লা মোল্লা বাদি হয়ে বালিয়াপাড়া গ্রামের কিবরিয়া, মাসুদ, মমিন, মনির, গিয়াসউদ্দিন, দায়েন, ইছব, পাঁচগাঁও গ্রামের মজিবরকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৬০/১৬। উক্ত সম্পত্তিতে আসামিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা মামলার বাদিকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। শহিদুল্লা ও তার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মামলার বাদি শহিদুল্লা মোল্লা ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শহিদুল্লা মোল্লার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন