শরীয়তপুর সদরের ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। ১৪ নভেম্বর রোববার দুপুরে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তেতুলিয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদরের ডোমসার ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আজগর আলী খান। তিনি রোববার তার সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় শোডাউন করতে চাইলে পরাজিত সদস্য প্রার্থী মতিউর রহমান ছৈয়ালের সমর্থকরা বাঁধা দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ দেশি অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে চিতলিয়া এলাকায় অবস্থান নেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
দুপুর দুইটার দিকে চিতলিয়া ইটভাটার কাছে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। সংঘর্ষে অন্তত ৫০টি ককটেল বোমার বিস্ফোরন ঘটানো হয়। এতে দুই পক্ষের ৪০ ব্যক্তি আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের শরীরে শটগানের গুলি লাগে।
আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে আজগর আলীর সমর্থকদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় মতির রহমানের সমর্থকরা।
মতিউর রহমান ছৈয়াল বলেন, আজগর খান বিজয়ী হয়েই আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন।
আজগর আলী খান বলেন, নির্বাচন চলাকালিন সময় তারা আমার সমর্থকদের মারধর করেছে। এখন নির্বাচন শেষ, কিন্তু আমাদের এলাকায় যেতে দিচ্ছিল না। তাই জনসাধারণ ক্ষুব্দ হয়ে জরো হয়েছিল। তারা সেখানে হামলা করেছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আক্তার হোসেন বলেন, বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা জরো হয়েছে জেনে পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। তারপরও তারা সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। ককটেল বোমার বিস্ফোরন ও আগ্নেয়াস্ত্র শটগান ব্যবহারের তথ্য পেয়েছি। সত্যতা যাচাই করে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন