চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় তুমুল হট্টগোল হয়েছে। নগর কমিটিকে ‘অবৈধ’ এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি নিজের টাকায় পার্টি চালান- এমন বক্তব্যের জের ধরে হট্টগোল চরমে ওঠে। এ সময় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সাবেক সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। রোববার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টানা বৈঠক হয়। তবে সভায় হট্টগোলের বিষয়টি প্রকাশ্যে কেউ স্বীকার করছেন না। দারুল ফজল মার্কেট দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বক্তব্যে চলমান সদস্য সংগ্রহ অভিযান এবং ইউনিট-ওয়ার্ডে সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনেক পুরনো লোকজনকে বাদ দিয়ে পছন্দের লোকজনকে সদস্য করা হচ্ছে। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের তদারকির দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত থাকলেও কেন তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি- এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। নগর আওয়ামী লীগের বিদ্যমান কমিটিকে অবৈধ আখ্যায়িত করে মেয়র বলেন, ২০১৩ সালে গঠিত কমিটির মেয়াদ তিন বছর পরেই শেষ হয়েছে। এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি অবৈধ। এই কমিটির ওয়ার্ড, ইউনিট এবং থানায় সম্মেলন করার কোনো এখতিয়ার নেই। মেয়র রেজাউলের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দফতর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসেরসহ কয়েকজন নেতা। এ সময় পাল্টাপাল্টি বাক্যবিনিময়ে সভাস্থলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মেয়রের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন- কমিটি অবৈধ হলে আপনি সভায় এসেছেন কেন? যতক্ষণ পর্যন্ত সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কমিটি বৈধ। অন্যদিকে হাসান মাহমুদ শমসের চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে মেয়রের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। এ সময় মেয়র তাকে বারবার চেয়ারে বসে কথা বলার জন্য বলেন। পরে জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন