পটুয়াখালীতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হাসান সিকদার। আজ সোমবার বেলা পৌনে একটায় শহরের ব্যায়ামাগার মোড়ে এ হামলা হয়। বর্তমানে হাসান শিকদার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে হাসান সিকদার ৫/৬ জনসহ ব্যায়ায়ামাগার মোড়ে সাইফুলের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ ৫/৬ টি মোটরসাইকেল যোগে জেলা ছাত্রলীগের একই কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি জুনায়েদ হোসাইন মিজান ওরফে কেচি মিজান ১০/১২ জন সশস্ত্র যুবক হাসান সিকদারের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের সাবেক একাধিক নেতাকর্মীদের সুত্রে জানাযায়, দুজনই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সভাপতি ও সহ সভাপতি ছিলেন এবং দুজনই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে টেন্ডারসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দুরত্ব তৈরী হয়। পূর্বের ক্ষোভের জেরে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে। তাদের কমিটিও বিলুপ্ত হয় ১০ মাস আগে। পরে আর নতুন কমিটি ঘোষনা হয়নি।
এদিকে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে,পূর্বের বিরোধের জের সহ আজকে একটি ঠিকাদারী কাজের বিষয়ে হাসান শিকদারকে ফরম জমা দিতে নিষেধ করা হয়েছিল,কিন্তু সে নিষেধ না মেনে তা জমা দেয়ায় তার উপরে এ হামলা চালানো হয়।
এ ব্যাপারে মিজানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সম্ভবত বিগত দিনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও শত্রুতার জেরে আজকের এই হামলার ঘটনা হয়েছে। আহত হাসানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে পুলিশ অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা করেছে।এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি,অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন