চট্টগ্রাম থেকে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস সিলেট আসছিলেন শাবির এক ছাত্রী। মৌলভীবাজেরর শেরপুরে আসার পরই বাসের ভেতর হঠাৎ শুরু হয় হৈ-হুল্লোড়। সেই শব্দ কান এড়ায়নি হাইওয়ে পুলিশের। তৎক্ষনাৎ বাসের ভেতরে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা উঠে পড়ে। তারা দেখতে পান বাসের ভেতরে এক তরুণী ও এক যুবক উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন। তাদের বাদানুবাদে যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন যাত্রী এবং বাসের চালক-সুপারভাইজারও।
ওই মেয়েটির অভিযোগ, পর্ণো ভিডিও দেখিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করেছেন সামনের সিটে বসা পুরুষ যাত্রীটি। পুলিশের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি দুই পক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শুনে এবং ছেলেটির মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে সত্যতা পান মেয়েটির অভিযোগের। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই যুবককে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন। টাকা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত মো. মাহবুবুর রহমান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা। আর হয়রানির শিকার তরুণী সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার সকালে শেরপুরের মুক্তিযুদ্ধা চত্ত্বর এলাকায় এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয় এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট হাইওয়ে পুলিশ শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, সামনের সিটে বসে নিজের মোবাইল ফোনে পর্ণ ভিডিও দেখিয়ে পেছনের সিটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে উত্যক্ত করছিলেন মাহবুব। তিনি যখন শেরপুরে নেমে যেতে উদ্যোত হন তখন আপত্তি জানায় মেয়েটি। তিনি চালক ও সুপারভাইজারকে ডেকে ওই যুবককে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন সিলেট পর্যন্ত। এনিয়েই শুরু হয় বাদানুবাদ। ওসি বলেন, গাড়ির ভেতর থেকে চিৎকার শুনে পুলিশ সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই যুবককে প্রদান করা হয় দন্ড । দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের সিলেট জোনের সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন