ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশী ৪ নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সীমান্তবর্তী দুই জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপি। তিন দিনের কর্মসূচির মধ্যে আগামীকাল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে, ১৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটে এবং ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও সিলেটের কানাইঘাটে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে ৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলা হয়, জাতীয় স্থায়ী কমিটি মনে করে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই সীমান্তে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বক্তব্যেরও সমালোচনা করে বলা হয়, সীমান্তে চোরা-চালান বন্ধ করার জন্য গুলি করে মানুষ হত্যা কোনো মতেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করার আহ্বান জানানো হয়।
গত সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি, কারচুপি ও জালিয়াতির ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে দেশের গণতন্ত্রের জন্য এবং তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে চরম হুমকি স্বরুপ। বিএনপি এই আইন করার সময়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে ছিলো এবং এই আইন সামাজিক বিভাজন ও সহিংসতা বৃদ্ধি করবে বলেও মত প্রকাশ করেছিলো। এই নির্বাচনে চলমান সহিংসতার ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে বিএনপির বক্তব্যের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হলো।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যোগ্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবিও জানানো হয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজি গ্যাসের মূল্য কমানোর দাবি জানানো হয় বৈঠকে।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন