শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বিতর্কিত ব্যক্তিদের নামে জয়পুরহাট আ. লীগের তৃণমূলের তালিকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৩৯ পিএম

জনপ্রিয় ও ত্যাগী কর্মীদের নাম বাদ দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজ পরিবারসহ অজনপ্রিয় ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম লিখে জয়পুরহাটে তৃণমূলের তালিকা কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জয়পুরহাট তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

লিখিত অভিযোগে তারা দাবি করেছেন, জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট ও বম্বু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোল্লা সামছুল আলম পরস্পর যোগসাজশে ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দলের ত্যাগী ও জনপ্রিয় কর্মীদের বাদ নিজ পরিবারসহ অজনপ্রিয়, চিহ্নিত মাদক কারবারি ছাড়াও বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম লিখে তৃণমূলের তালিকা কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়ন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার নিজের শ্যালক মহসিনউল আজিজকে তালিকায় রেখেছেন। কিন্তু সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তাকে কখনো কোনো মিছিল-মিটিংয়েও দেখা যায়নি। এমনকি কিছুদিন পূর্বে সে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, বম্বু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোল্লা সামছুল আলম একজন সিনিয়র নেতা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাঁটাচলা করতে পারেন না তিনি। এমনকি মুখে স্পষ্ট কথাও বলতে পারেন না। অর্থাৎ তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন একজন মানুষ। ফলে তাকে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মতো জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর একটি প্রতিষ্ঠান মোটেও পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এমনকি তার জনপ্রিয়তাও শুন্যের কোঠায়। কিন্তু তবুও তৃণমূলের তালিকায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে তার নাম দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান করোনাকালীন সময় মানুষ যখন প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্বেচ্ছা-অনিচ্ছায় ঘরে বন্দি। সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গরিব-দু:খি-অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন। তিনি নিজ উদ্যোগেও কয়েক হাজার কর্মহীন হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি নিজেই হতদরিদ্র অসহায় মানুষের বাড়ি ঘুরে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন।

অন্যদিকে বম্বু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন প্রতিনিয়ত মানুষের পাশে রয়েছেন। শুধু করোনাকালীন সময়ে নয়, অন্যান্য সময়েও তিনি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। করোনাকালীন সময়ে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছিলেন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে খুব জনপ্রিয় ব্যক্তি। নৌকা প্রতীক পেলে ইউনিয়নবাসী এক সঙ্গে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এছাড়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ত্যাগী ও কর্মঠ কর্মীদের নাম বাদ দিয়েই তৃণমূলের তালিকা কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠানোয় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন