জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নে আয়েশা সিদ্দিকা নামের এক কলেজছাত্রীকে নিজ বাড়িতে সংবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মাঝিনা গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘরে একা থাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কলেজ ছাত্রী আয়েশা আক্তারের বাবা মোজাম্মেল হোসেন একটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপির দায়ে জেলখানায় রয়েছেন। শুক্রবার দিনের বেলায় আয়েশা সিদ্দিকা তার চাচাতো ভাইয়ের দুই মেয়েকে নিয়ে স্বপ্নপুরি বিনোদন পার্কে ঘুরতে যান। পরে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে পৌঁছেন। এরপর ওই কলেজ ছাত্রী তার ভাতিজিদের পাশের ঘরে ঘুমাতে বলে নিজের শোবার ঘরে চলে যান। আজ শনিবার সকালে দুই ভাতিজি ঘুম থেকে উঠে দেখে, আয়েশা সিদ্দিকার ঘরের দরজা খোলা এবং তার বিবস্ত্র দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তারা চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা আসেন এবং ঘটনা জানাজানি হয়।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুন আরেফিন আবু জানান, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটির মুখে পায়জামা গুঁজে রাখা হয়েছিল। হত্যাকান্ডের শিকার আয়েশা সিদ্দিকা জয়পুরহাট সরকারি কলেজে স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আয়েশা আক্তার (২২) নামে মেয়েটি ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন, শুক্রবার রাতে ভাই ভাবী বাড়িতে না থাকায় পাশের বাড়ির দুই কিশোরী মেয়েকে নিয়ে রুমে টিভি দেখছিলেন। টিভি দেখা শেষে দুই কিশোরীকে রেখে পাশের রুমে ঘুমানে যান আয়েশা। সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়শার রুমের দরজা খোলা ও খাটে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ঐ দুই কিশোরী। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তিনি আরোও জানান, জয়পুরহাট সরকারী ডিগ্রী কলেজের ঐ ছাত্রীর গলায় ওরনা পেঁচানো ছিল, ধারনা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষনের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে,
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন