সিলেটে আজ ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘কঠোর ধর্মঘট’ পালন করা হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতারা গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন।
জানা যায়, সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতারা। সেই সময় শেষ হয় গতকাল। কিন্তু তাদের ৫ দফা দাবি আদায় হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। ফলে আজ থেকে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন তারা। ভোর ৬টা থেকে সিলেট বিভাগজুড়ে কোনো ধরনের গাড়ি চলতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, ধর্মঘট সফলের লক্ষ্যে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন শাখা কার্যালয়ে গত ৩ দিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে, সিলেট জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক জোটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা, ‘প্রহসনের নির্বাচন’ ও ‘বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায়’ ঘোষিত কমিটি বাতিল করা ও মনোনয়ন ফি বাবৎ আদায়কৃত সকল টাকা ফেরত প্রদান, সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দফতরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের উপর দায়েরকৃত মামলাসমূহ প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ শেরপুর, শেওলা, লামাকাজী, শাহপরাণ ও ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধ এবং চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশসহ সকল প্রকার গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা করা।
গত শুক্রবার সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ওমরাহ পালনে সৌদি আরব চলে যাওয়ায় সংকট আরো ঘনীভূত হয়। শেষ পর্যন্ত আইনি ব্যবস্থার পরিবর্তে আন্দোলনের দিকে ঝুকঁছেন পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি আমরা। আজকের পরিবহন কর্মবিরতি বাস্তবায়নে আমারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন