সুনামগঞ্জের ডেকার হাওরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান রোপণ মৌসুম। এবার যথাসময়ে হাওরে থেকে পানি নামছে, সেই সাথে আবহাওয়া ভালো রয়েছে।
তবে কৃষক একটু চিন্তিত ডিজিলের মূল্য বৃদ্ধিসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণ নিয়ে। গত শনিবার সকালে ডেকার হাওরে বীজতলা সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে জমি চাষ দিচ্ছেন, কেউ সেচ পানি দিচ্ছেন, কেউ জমির আইল কোটা বাঁধছেন, বীজতলা সমান করছেন, কেউ বীজ বপন করছেন। এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। চলতি মাসের ১০ তারিখে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়ছে। আরো ১৫ দিন লাগবে বীজতলা তৈরিতে। হাওড় থেকে ধীরে ধীরে পানি নামছে আর একটু একটু করে বীজতলা বপন শেষ করছেন কৃষক। তৈরি শেষে একই সাথে হাওরে হাওরে বোরো ধান রোপণ মৌসুম শুরু হবে।
ডেকার হাওর পাড়ের কৃষক ফরিদ মিয়ার বলেন, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পাওয়ার ট্রিলার মালিকরা চাষাবাদে মূল্য বৃদ্ধি করেছে। বিগত বছরে এক কেয়ার ৩০ শতক চারা জমি চাষ দিয়েছি ১১শ’ টাকায় এবার পাওয়ার ট্রিলার মালিক নিচ্ছে ১৪শ’ টাকা। তিনি আর জানান, স্থানীয় জাতের ধান থাকায় বাজার থেকে বিভিন্ন জাতের বীজ ধান কিনছেন কৃষক আর প্রতি বছর বীজ ধানের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া সার, কীট নাশক সব কিছুর দামই একখন ঊর্ধ্বমুখী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছর জেলার ১৩৭টি হাওড়ে ২ লাখ ২২ হাজার ৬শ’ ৬৫ হেক্টরের জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হবে।
উপজেলা সদর ডেকার হাওর পাড়ের কৃষক মাসুক মিয়া বলেন, কেরোসিনের দাম বাড়ার কারণে এবার জমি চাষাবাদ করতে গিয়ে একটু ব্যয় বাড়ছে আমরা বিগত সময়ে এক কেয়ার বীজতলা তৈরির জমি চাষাবাদ করতে ১১শ’ টাকা নিয়েছি এবার ১৪শ’ টাকা নিচ্ছি।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল হাসান বলেন, এবার যথাসময়ে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি রোপণ মৌসুমটাও যথা সময়ে শুরু হবে। ডিজেলের মূল্য কিছু বৃদ্ধির কারণে জমিতে হাল চাষ সেচসহ কৃষকের ব্যয়ভার কিছুটা বাড়বে। তবে ধানের দর ভাল হলে কৃষক পুষিয়ে নিতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন