মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার বিকালে ৬৭ নং পূর্ব সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পৌর শহরের থানাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার নাজমুল ইসলামের স্ত্রী শিক্ষিকা ইলা (২৬)-কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ছয় বখাটে পিটিয়ে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে স্কুল শিক্ষিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে স্কুল ছুটি শেষে ওই স্কুল শিক্ষিকা নিজ স্কুলে কর্মরত দপ্তরী দুলাল ফরাজীর মোটর সাইকেলযোগে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে টিকিকাটা হাওলাদার বাড়ি নামক স্থানে চলন্ত মোটরসাইকেল থামিয়ে ৬ যুবক তাদের লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরতর জখম করে। এ মসয়ে বখাটেদের হামলায় কামরুন্নাহারের দেড়বছর বয়সী শিশু আবদুল্লাহ ও স্কুলের দপ্তরী দুলাল ফরাজীও আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল চালক ও স্কুল দপ্তরী দুলাল ফরাজী বাদি হয়ে এ হামলার ঘটনায় স্থানীয় বাদল মৃধাকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় আজ বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। আহত দপ্তরী দুলাল ফরাজী উপজেলার পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের মৃত ছত্তার ফরাজীর ছেলে। মঠবাড়িয়া থানার ওসি তদন্ত মো. সরোয়ার শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালছে।
মোবাইলে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
মঠবাড়িয়ায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের মোঃ সেলিম মাতুব্বরের ছেলে মধূ মাতুব্বর (২৪) এর সাথে বাদুরতলী গ্রামের দিন মজুরের মেয়ে স্থানীয় স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর (১৪) ১৫/১৬ দিন ধরে মুঠোফোনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্রে গত মঙ্গলবার সকালে মধু মাতুব্বর মুঠোফোনে কল করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ওই দিন বিকেলে মিঠাখালী মাতুব্বর বাড়ির ব্রিজে দেখা করতে বলে। স্কুলছাত্রী বিকেলে ব্রিজে আসলে মধূ মাতুব্বর ফুসলিয়ে তাকে রাস্তার পার্শ্বে তার দোকানে নিয়ে দোকানের ঝাপ আটকিয়ে দেয়। এ সময় দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের ছালাম হাওলাদারের ছেলে মিরাজ হাওলাদার (২৬) দোকানের সামনে পাহারায় থাকে। পরে মধূ মাতুব্বর রাত ৯টার দিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ওই স্কুল ছাত্রীকে দোকান থেকে বের করে রাস্তার উত্তর পার্শ্বের একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে রেখে আসে। রাত ১১টা দিকে মিরাজ হাওলাদার ঘরে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে স্কুলছাত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পাশের সুলতান মল্লিকের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ সরোয়ার সেখ জানান, এঘটনায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন