রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত ২ শতাধিক যুবক

প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পথে পথে ঘুরছে ২ শতাধিক বেকার যুবক। ট্রেনিং দিয়ে তাদের সাবলম্বী করে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। আর এবিষয়ে ভুক্তভোগীদের শত অভিযোগ থাকলেও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ আমলে না নেয়ায় প্রতারণার জাল আরো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। অপরদিকে জবাবদিহিতা ও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ব্যবস্থা না থাকায় বেপরোয়া কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভুক্তভোগীরা জানান, আনসার-ভিডিপির ট্রেনিংয়ের সনদ থাকলে পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি বাহিনীতে চাকরি পেতে সুবিধা হয় বলে প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের প্রথমে ট্রেনিংয়ের জন্য আবেদন করানো হয়। আর কাগজপত্রের সাথে নেয়া হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার করে নগদ অর্থ উৎকোচ। কিন্তু ট্রেনিংয়ে কোনো কারণে কেউ অযোগ্য হলে তাকে টাকা ফেরৎ পর্যন্ত দেয়া হয় না। অপরদিকে যাদের ট্রেনিং দেয়া হয় তাদের কাছ থেকেও পুনরায় আরো উৎকোচ নেয়া হয়। আর যদি নির্বাচনসহ বিভিন্ন কাজে আনসার- ভিডিপির ট্রেনিংপ্রাপ্তদের ডিউটিতে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের প্রাপ্ত টাকা থেকেও অফিসে পারসেন্ট নেয়া হয় বলে অহরহ অভিযোগ মিলছে। অপরদিকে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে কোনো সদস্য লোন উত্তোলন করতে গেলে উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শেয়ার কিনতে হয় এবং তাদের শনাক্তকরণ লাগে বিধায় লোন গ্রহীতাদের জিম্মি করে এক প্রকার প্রকাশ্যে উৎকোচ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণার শিকার হয়ে উপজেলার উত্তর রমজানপুর গ্রামের রণজিৎ ম-ল, রমজান হোসেন মাজার, অপু কিত্তনিয়া, বিমল খানসহ ১০/১২ জন বেকার যুবক অভিযোগ করে বলেন ‘এমনিতেই বেকারত্বের কারণে জীবন এখন মূল্যহীন মনে হয়। তার ওপরে উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসের সাহানা আক্তার হেনা প্রশিক্ষণের নাম করে আমাদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা না থাকায় কালকিনিতে অফিস পরিচালনা করে আসছে প্রশিক্ষিকা সাহানা আক্তার হেনা। আর অভিযোগের পাহাড়ও জমা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসের দায়িত্বে থাকা সাহানা আক্তার হেনা বলেন, ‘আমার কাগজপত্রে সব ওকে আছে। তাই আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও কোনো কিছু করতে পারবে না।’ এব্যাপারে ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, ‘এসব ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন