গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মিরিকপুর গ্রামে মেসার্স চৌধুরী অটো রাইস মিলের দূষিত বর্জ্য, ছাই, তুষ, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ও মেশিনের বিকট শব্দে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সূত্রে জানা গেছে, উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতর পৃথক পৃথক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়। সংশ্লিষ্ট অধিদফতর থেকে গত ৬ অক্টোবর মিল মালিককে পরিবেশ ছাড়পত্র আইন ভঙ্গ করায় কেন আইনানুগ ব্যবস্থ’গ্রহণ করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। পত্র পাওয়ার পর মিল কর্তৃপক্ষ মিলের ত্রুটিমুক্ত সংস্কার করে জবাব দেয়। তার প্রেক্ষিতে পুনরায় ১৬ অক্টোবর সত্যতা যাচাই করার জন্য পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে পরিদর্শন দল সরজমিনে মিল পরিদর্শন করে। তদন্তকে প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত করতে মিল মালিকের কতিপয় আত্মীয়-স্বজন অভিযোগকারীসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে বাক-বিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। পরিদর্শন দল তদন্তকালে মিলের উড়ন্ত ছাই, তুষ ও কুড়ায় আশপাশের লোকজনের বাড়ি-ঘরে বসবাসের পরিবেশ অযোগ্য হয়ে পড়া দেখতে পেয়ে তাদের পুনরায় নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আরো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিলের সমস্যা দূর করার তাগিদ দেন। উল্লেখ্য যে, মিলের বর্জ্য তুষ, কুড়া, ছাই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় পথচারী ও এলাকার শিশু, বয়োবৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে চোখ সমস্যা, কাশিসহ শ্বাসকষ্টজনিত মারাত্মক নানা রোগে। তাছাড়া দিনরাত ২৪ ঘণ্টা অটো মেশিনের বিকট শব্দে ও ধান সেদ্ধ করার ট্যাংকিতে হাতুড়ি পেটানোর ফলে এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘœ ঘটছে। শিশুদের এশব্দে রাতে ঘুম ভেঙে যায়। এব্যাপারে মেসার্স চৌধুরী অটো রাইস মিলের পরিচালক আঞ্জুমান আরা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, মিলের ছাঁইয়ের হাউজ ভেঙে যাওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে উক্ত সমস্যার সৃষ্টি হলেও বর্তমানে তা মেরামত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধিকতর তদন্তসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে দাবি করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন