চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করছে চাষিরা। চাষিরা জমিতে হল্যান্ডের ডায়মন্ড, এলগাসহ বিভিন্ন প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল বীজ রোপণ করছে। এলাকায় প্রচুর বীজ রয়েছে বলে চাষিরা জানান। আলু রোপণের জন্য কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর, জামালপুর ও কুমিল্লা হতে আগত শ্রমিকরা জমিতে কাজ করছে। এ বছর শ্রমিকের মজুরি বেশি। চাষিরা জমিতে ডাই এমোনিয়া ফসফেট (ড্যাপ), ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) তিউনেসিয়া, মরক্কো, ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার প্রয়োগ করছে। ইউরিয়া, ড্যাপ ও এমওপি সারের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বিদেশি সার মরক্কো ও তিউনিসিয়া টিএসপি’র দাম দেড়গুণ হতে দ্বিগুণ বেড়েছে। মরক্কো সারের দাম প্রতি বস্তা (৫০) কেজি ১২০০টাকা এবং তিউনিসিয়ার দাম প্রতি বস্তা (৫০) কেজি ১৬০০টাকা। তিউনিসিয়ার প্রতি চাষিদের চাহিদা থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় ক্রয় করছেনা। ড্যাপ ব্যবহারে খরচ কমছে অর্ধেক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ নুর জানান, সরকার ড্যাপ সার ভর্তুকি দিয়ে বাজারে সরবরাহ করছে। গুনগত মানও ভালো। জমিতে একশ’ কেজি ড্যাপ সার প্রয়োগ করলে বিশ কেজি ইউরিয়া সার কম লাগছে। আর ফলনও আশানুরুপ হবে। তিনি আরো জানান, এ বছর উপজেলায় দুই হাজর পাচ’শ হেক্টর জমি আলু চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে গত বছর দুই হাজার চারশ’ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করা হয়। কিন্তু এ বছর দাম না পাওয়ায় চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আলু রোপণ কম হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রোপণের পর পুরো পরিমান জানা যাবে। বাউসিয়া ইউনিয়নের সার ডিলার হিমা কনস্ট্রাশনের ব্যবস্থাপক হান্নান প্রধান বলেন, আমাদের সারের কোন ঘাটতি নেই, দাম ও স্বাভাবিক। অনেক চাষিরা টিএসপি তিউনিসিয়া চায়। সরকার তিউনিসিয়ার পরিবর্তে ড্যাপ বাজারে সরবরাহ করছে। আর আমরা ক্ষুদ্র ডিলারদের মাঝে সরবরাহ করছি। বাঘাইকান্দি গ্রামের জহিরুল, জাহাঙ্গীর ও ষোলআনী গ্রামের আলু চাষি হাফেজ আহমেদ জানান, এ বছর আলুর প্রতি বস্তা (৫০) কেজি হিমাগার পর্যন্ত ৫৮০- ৬০০টাকা খরচ পড়েছে, বিক্রয় করিছি মাত্র ১৭০টাকা। লোকসানে সব মূলধন হারিয়েছি। তবুও ভবিষ্যতের আশায় আবার রোপণ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন