নিজ কার্যালয়ে ঢুকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার নম্বর আসামি সুমনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে ১১ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
গ্রেপ্তার সুমন নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত কানু মিয়ার ছেলে।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ‘আমরা মামলার চার নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনার বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রুমান। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে দশজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি শাহ আলমকে। এছাড়া তার সহযোগী সোহেল মিয়া ওরফে জেল সোহেলকে মামলার ২য় আসামি করা হয়েছে।
গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দু’জন। কাউন্সিলর সোহেলকে এলোপাতাড়ি ৯টি গুলি করে ঘাতকরা। এতে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যায়। হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য পাঁচটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বুকে ও পেটে গুলি লেগেছিল। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন