শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুষ্টিয়ায় নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ২০ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ৯:০৮ পিএম

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সাদুর ছেলে কাবুল ওরফে কালু, একই উপজেলার চাঁদগ্রামের বিশুর ছেলে মোস্তাক আলী মস্তান, তার ছেলে গোলাম রেজা রোকন এবং সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে মিলন। এদের মধ্যে গোলাম রেজা রোকন ও মোস্তাক আলী মস্তান পলাতক রয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কালু এবং মিলন আলীকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তানের জননী ওই নারী দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আল্লাহর দর্গা গ্রামের একটি সিগারেট ফ্যাক্টরির পাশে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন এবং ভেড়ামারায় একটি ডালের মিলে চাকরি করতেন। সেখানে তিনি প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পর দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত কাজ করতেন।

প্রতিদিনের মতো ২০০১ সালের ১২ আগস্ট বিকেলের দিকে বাসা থেকে কর্মস্থল ভেড়ামারার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পর দিন তিনি বাসায় না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া এলাকায় জনৈক আকরাম আলীর বাড়ির পাশে একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরে পরিবারের লোকজন সেখানে যান এবং তার মরদেহ শনাক্ত করেন। ১৩ আগস্ট দিবাগত রাতের যেকোনো সময় ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে অপহরন করে ধর্ষণের পর হত্যা করে।

ভেড়ামারা থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরে নিহতের মা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে থানার হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ভেড়ামারা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কালু এবং মিলন আলীকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন