জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এবার বাড়ানো হবে না। তবে কেউ নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা দিতে না পারলে আইনানুযায়ী সময় চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে। তবে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। গত বুধবার বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি আহ্বান জানান।
চেম্বার সভাপতি চিঠিতে উল্লেখ করেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩০ নভেম্বর নির্ধারণ করা আছে। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং আমাদের অর্থনীতিতে এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবের কারণে অনেক করদাতার পক্ষে এই নির্ধারিত সময়ে মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হবে না বলে মনে হয়।
তবে এনবিআররের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় ৩০ নভেম্বরের পর এবার আর সময় বাড়ানো হবে না। গত বছর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছিল। তবে এবার আর তা করা হচ্ছে না।
করোনার কারণে এবার কর মেলা হচ্ছে না। তবে করদাতাদের সুবিধার জন্য গত ১ নভেম্বর থেকে প্রতিটি কর অঞ্চলে কর মেলার পরিবেশে রিটার্ন গ্রহণ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান এবং কর তথ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। রিটার্ন দাখিলের পর করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও পাচ্ছেন।
দেশের মোট ৩১টি কর অঞ্চলের সবকটিতে করদাতাদের উপস্থিতি রয়েছে। তারা নির্বিঘ্নে রিটার্ন দাখিল করছেন। বর্তমানে দেশে ৬০ লাখের অধিক কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন