ফেরি লোড-আনলোডের সংযোগ রাস্তায় গাড়ি আটকে যাওয়ায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুই পারে পণ্যবাহী ট্রাকসহ রোগী বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্স ও যাত্রীবাহী যানবাহন ঘাটে এসে আটকে পড়ে। ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘাটে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়েছে এসব যানবাহনগুলোকে। ফলে এ নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া এমনিতেইতো বিগত প্রায় এক মাস ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি ও ঘাট সঙ্কট রয়েছে। অব্যাহত রয়েছে যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ২টায় কাজিরহাট ঘাটের ফেরি লোড-আনলোডের সংযোগ রাস্তার মাঝে একটি ট্রাকের এক্সেল ভেঙ্গে বিকল হয়ে যায়। এসময় ওই রাস্তাটি আটকে যায়। এতে কাজিরহাটের একটি মাত্র ঘাট দিয়ে ফেরি লোড-আনলোড বন্ধ থাকে। বিকল্প আর কোনো ঘাট না থাকায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আটকে যাওয়া গাড়িটি ওই রাস্তা থেকে সড়িয়ে নেওয়ার পর পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিল আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের ফেরি সার্ভিস। ফলে দুই পারেই গাড়ি জমা হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথে চলাচলকারী যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদেরকে।
ট্রাকচালক আমিনুর রহমান জানান, ফেরি পারের জন্য গত বুধবার দুপুর ১২টায় আরিচা এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টাতেও ফেরির নাগাল পায়নি সে। ঢাকা থেকে সিমেন্ট বোঝাই করে কুষ্টিয়া যাচ্ছেন তিনি। পাটুরিয়া ঘাটে যানজটের কারণে তাড়াতাড়ি সহজে পার হওয়ার জন্য আরিচা ঘাটে আসেন তিনি। কিন্তু এখানে এসেও সেই বিড়ম্বনা। তবে এই ঘাটে আরো ফেরি বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাটের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ জানান, নদীর ওই পারে পাবনার কজিরহাটে একটি মাত্র ঘাট। এ ঘাটের সংযোগ রাস্তার মাঝে গত বুধবার দিবগত রাতে একটি গাড়ির এক্সেল ভেঙ্গে পড়লে ৮ ঘণ্টা ফেরিতে যানবাহন লোড-আনলোড বন্ধ থাকে। ফলে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হয়। এদিকে চারিটি ফেরির মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রো-রো ফেরি শাহ মখদুম গত বুধবার থেকে বসা রয়েছে। বর্তমানে তিনটি ছোট ফেরি চলাচল করছে। স্বল্প সংখ্যক ঘাট এবং ফেরি দিয়ে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। অতিদ্রুত এ নৌরুটে আরও ফেরি এবং ঘাট বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন