চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পূর্ব কলাউজানের গাবতলী লক্ষণেরখিল এলাকায় টংকাবতী খালের ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে শম্বুকগতিতে। মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। ছয় মাস ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে স্থানীয়রা জানান। সেতুটির নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় টংকাবতী খালের তীরবর্তী চরম্বা ও কলাউজানের দুই ইউনিয়নের মানুষকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকায় উৎপাদিত নানা কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর একান্ত প্রচেষ্ঠায় ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর নিয়াজের টেক হতে টংকাবতী ফরেস্ট অফিস ভায়া কানুরাম বাজার সড়কে টংকাবতী খালের ওপর ৮১ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। গত বছর ২৪ মার্চ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।
চট্টগ্রামের মেসার্স নুর সিন্ডিকেট নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় দুই বছর হলেও এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এ পর্যন্ত সেতুটির ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে। এটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬ হাজার টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৮১ মিটার ও প্রস্থ ৭.৩ মিটার।
স্থানীয়রা জানান, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। স্থানীয় এমপি ড. নদভীর একান্ত প্রচেষ্ঠায় সেতুটি নির্মাণ শুরু হলেও তা চলছে ধীরগতিতে। এমন কি গত ছয় মাস ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সেতু নির্মাণ শেষ হলে কলাউজান ও চরম্বা ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক রচিত হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি টংকাবতীর খালের দুই পাড়ে শুধু সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হয়েছে। মাঝখানের বড় অংশে এখনো কাজ করা হয়নি। কংকর, বালি ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী খালের পাড়ে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে। নির্মিত অংশে লোহার রডে মরিচা পড়েছে। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয়দের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। খালের পানি ডিঙিয়ে মানুষ চলাচল করছে ও নানা কৃষি পণ্য নিয়ে খাল পার হতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নুর সিন্ডিকেটের পক্ষে তত্ত¡াবধায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্ষায় খালে পানি থাকার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
লোহাগাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ ইফরাদ বিন মুনির জানান, সেতুর নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্ষা ও করোনার কারণে নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন