নোয়াখালীর চাটখিল থানা পুলিশ গত শনিবার বিকেলে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের মাস্টার মাইন্ড ও অস্ত্রধারী ১৪ মামলার আসামি ফুয়াদ হোসেন সৈকত (২৭)কে তার চাটখিল পৌরসভার দশানীটবগা’র বসত ঘর থেকে গ্রেফতার করে। এসময় সৈকতের সহযোগি ৯ মামলার আসামি মামুন হোসেন (৩০) কে সৈকতের ঘর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, সৈকত আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের মাস্টার মাইন্ড এমন সংবাদ পেয়ে চাটখিল থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দশানীটবগা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সৈকতকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে সেখানে তার সহযোগি মামুনকেও পাওয়া যায়। এসময় তারা পুলিশের ওপর প্রথমে হামলা পরে নিজেরা আত্মহত্যা করার ভয়ভীতি দেখান। পুলিশ সুকৌশলে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ১টি দেশিয় এলজি, ২টি শর্ট গান কার্তুজ, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ২টি চাকু, ২টি চোরাই কাজে ব্যবহৃত স্ক্রু ড্রাইভার, ৩টি বিভিন্ন সাইজের প্লাস, ১টি ড্রিল মেশিন, ২টি ড্রিল মেশিনের স্ক্রু উদ্ধার করে।
চাটখিল থানার ওসি মো. আবুল খায়ের গত শনিবার সন্ধ্যার পরে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদেরকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আমি থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে দশানীটবগায় অভিযান চালিয়ে ১৪ মামলার আসামি সৈকতকে গ্রেফতার করতে গেলে সেখানে তার সহযোগি ৯ মামলা আসামি মামুনকেও পাই। মামুন প্রথমে পুলিশের উপর হামলার ও পরে নিজে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মামুন এক বিল্ডিং থেকে অন্য একটি টিনের ঘরের চালের উপর লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে সে চাল ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। আমাদের টিমের সঙ্গে থাকা শহিদ উল্যাহ (৩৫) গ্রাম পুলিশ তাকে জড়িয়ে ধরে আটক করলে সে গ্রাম পুলিশকে নিয়ে পুকুরে লাফ দেয় এবং গ্রাম পুলিশকে পানিতে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করে। পরে সঙ্গীয় ফোর্স মামুনকে আটক করে গ্রাম পুলিশ শহিদ উল্যাহ’র প্রাণ বাঁচায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় মামলা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গতকাল রোববার দুপুরে থানার ওসি জানান, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন