দীপন বিশ্বাস, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে
স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি কক্সবাজারের উখিয়ার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ইনানী বিচের। হাতেগোনা কয়েকটি হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ছাড়া দৃশ্যমান উল্লেখযোগ্য কোনো দর্শনীয় স্থান এখানে নেই। বিচ দখল করে যত্রতত্র মুদির দোকান, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা, বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় টোকাইদের অবাধ বিচরণসহ নানা প্রকার অনৈতিক কারণে পর্যটন পরিবেশকে আরো বিষিয়ে তোলা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী মো. জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৩ বছর ধরে ইনানী বিচের মূল পয়েন্টে কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। ফলে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বিচ এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ নেমে আসে। তিনি বলেন, ৩ বছর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মূল পয়েন্টে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে টোকাইদের দৌরাত্ম্য। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ অক্ষুণœ রেখে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা নিক্ষেপকারীদের সতর্ক করে দেওয়ার জন্য মনজুর, বেলাল ও নাজিম নামের ৩ জনকে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে সৈকতে নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় যেখানে-সেখানে ময়লা-আর্বজনার স্তূপ দেখা যাচ্ছে বলে পর্যটকদের অভিযোগ। ইনানী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোসেন জানান, ২০১০ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদ শামীম আল রাজী সৈকতের মূল পয়েন্টে একটি মাশরুম মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিলেও অজ্ঞাত কারণবশত তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সেকতের অধিকাংশ জায়গা চলে গেছে মুদি দোকানিদের দখলে। যা পরিবেশসম্মত নয় বলে স্থানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহলের অভিযোগ। তিনি বলেন, এলাকার স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী রাতারাতি দোকান নির্মাণ করে দিনের বেলায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্র হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে মহিলাদের জন্য চেইঞ্জিং রুম ও বাথরুম নেই। যে কারণে মহিলাদের পীড়াদায়ক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিচ ইজারাদার অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইনানীর মতো একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকায় বাথরুম ও চেইঞ্জিং রুম না থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, বাথরুম ও চেইঞ্জিং রুমসহ ইনানী বিচের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে জেলা পরিষদ কর্মকর্তার সাথে আলাপ হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব উন্নয়ন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন