সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

তেলশূন্য চিলমারীর ভাসমান ডিপো

ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

কুড়িগ্রামের চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান তেল ডিপোতে ১ বছর ধরে তেল না থাকায় গ্রাহকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। লালমনিরহাট জেলার তেল ডিলাররা ভাসমান তেল ডিপোতে তেল না থাকায় পারবর্তীপুর ডিপো থেকে তেল আনতে হচ্ছে। এতে করে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ব্যয় ডিলাররা গ্রাহকের নিকট থেকে আদায় করে নিচ্ছেন।
হাল চাষের ট্রাক্টর মালিক নজরুল ইসলাম জানান, আগে প্রতি লিটার ডিজেল তেল কিনতাম ৬৩ টাকা দরে। ডিপোতে তেল না থাকায় তেলের দাম বৃদ্ধিতে প্রতি লিটার ডিজেল কিনতে হচ্ছে ৬৫.৬৫ টাকা এবং বর্তমানে তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে ডিপো থেকে তেল বিক্রির রেট নির্ধারণ রয়েছে প্রতি লিটার ৭৭.৫১ টাকা।
পাম্প বা স্থানীয় তেল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০.৩৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। স্যালো মেশিন চালিত নৌকার মালিক রমনা এলাকার গোলাম হোসেন জানান যে, প্রতি লিটার ডিজেল আগে কিনতাম ৬৩ টাকা দরে। ডিপোতে তেল না থাকায় তা ৬৫.৬৫ টাকা দরে এবং তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ৮০.৩৫ টাকা দরে প্রতি লিটার কিনতে হচ্ছে। নৌকা পারাপারের যাত্রী আব্দুল জব্বার জানান চিলমারী থেকে রৌমারী যাওয়া- আসা নৌকা ভাড়া ছিল যাত্রী প্রতি ৭০ টাকা।
ডিপোতে তেল না থাকায় তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ টাকা এবং বর্তমানে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে তা ১০০ টাকা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে নিম্ন আয়ের লোকজনকে অতিরিক্ত নৌকার ভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চিলমারী মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপোর ইনচার্জ আইয়ুব আলী জানান, যে জাহাজে তেল আনা হয় সেটি বর্তমানে তেল পরিবহনে অনুপযোগী হওয়ায় সেটি মেরামত করে তেল আনতে হবে। এতে করে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যমুনা ডিপোর ইনচার্জ শাহাজালাল জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা কম হওয়ায় তেল ভর্তি জাহাজ আসতে পারছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান জানান, ডিপো সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা হয়েছে যত শিগগির সম্ভব তেল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন