রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের নাহাটি এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একদল লম্পট এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণধর্ষণের অভিযোগে ৬ লম্পটকে আসামি করে ওই কিশোরী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার পাঁচাইখা এলাকার হারুন মিয়া, মহিবুর রহমান, রিপন মিয়া ও মাঝিপাড়া এলাকার রাহাতুল। জানা যায়, নাহাটি এলাকার মায়ের দোয়া এম্ব্রয়ডারী কারখানায় এক কিশোরী এক বছর ধরে কাজ করে আসছে। ওই কারখানার পিএম হারুন মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৪ মাস পূর্বে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কারখানার ভেতরেই হারুন মিয়া কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করতো। এরপর হারুন মিয়া তার সহযোগী রিপন ও মহিবুরকে দিয়ে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়। গত ১৫ দিন আগেও কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাঝিপাড়া এলাকার অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে ফের তারা গণধর্ষণ করে। আর এ কাজে সহযোগিতা করে হিমেল, জুয়েল ও রাজিব নামে আরো তিন লম্পট। প্রাণের ভয়ে ওই কিশোরীর কাউকে কিছু বলেনি। এরপর গত ১৯ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে কারখানায় প্রবেশ করে লম্পট হারুন মিয়া, মহিবুর রহমান, রিপন মিয়া, জুয়েল, হিমেল, রাজিব, রাহাতুল ফের ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে কারখানার মালিক শরীফ ভুইয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে ধর্ষণের কাজে বাঁধা প্রদান করে। এ সময় শরীফ ভুইয়াসহ অন্যান্য কর্মচারীদের হুমকি প্রদান করে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন