পাবনা সদরের হেমায়েতপুর সিগারেটের আগুনে পেট্রলপাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুত্বের দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু সাইদ (৩২)। তিনি চর ভগিরাতপুর গ্রামে মৃত সিদ্দিক প্রমাণিকের ছেলে। এর আগে গত সোমবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মতিউর রহমান (২২)। তিনি নাজিরপুর খন্দকারপাড়া গোলজার হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ওই পাম্পে শ্রমিকের কাজ করতেন। দগ্ধ অন্যজন হলেন শাকিল আহমেদ (২৪)। তিনিও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় সদরের হেমায়েতপুর এলাকায় বেঙ্গল পেট্রলপাম্পের এক কর্মচারী একটি ট্রাকে তেল দেয়ার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্মচারী মতিউর রহমান, আবু সাইদসহ ওই ট্রাকের তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় পাবনা থেকে রাজধানীর ঢামেক হাসপালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধ মো. মতিউর রহমানের শরীরের ৫২ শতাংশ, মো. শাকিল আহমেদের ৪৬ শতাংশ ও সাইদের শরীরের ৫৬ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাদের দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পাম্পের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, একটি ট্রাকে তেল দিচ্ছিল মতিউর, আবু সাইদসহ আরও একজন। এ সময় ট্রাকের ওপরে একজন ধূমপান করছিল। সিগারেটের শেষ অংশ নিচে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটলে তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে জানায়। তাদের পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন