ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
১৯২৭ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চরমুথুরা গ্রামে জম্ম নেয় বৃদ্ধা সহিদেন্নেছা। জন্মের পর থেকে জীবনের তাগিতে বেঁচে থাকার জন্য জীবন সংগ্রাম করে আসছে। ১৪ বছর বয়সে পাশের গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের সাথে বিয়ের পর এক কন্যা সন্তানের জন্মের পর তার স্বামী তাকে ফেলে উধাও হয়ে যায়। আজও স্বামী খলিলুর রহমানের সন্ধান নেই। সহিদেন্নেছা একমাত্র মেয়েকে নিয়ে অন্যের ঘরে ঝি’য়ের কাজ করে জীবনের প্রায় শত বছর পার করলেন। দারিদ্র্যতা কুরে-কুরে খাচ্ছে সহিদেন্নছাকে। শত অভাব-অনাটনের পরও প্রায় শত বছরের এই বৃদ্ধা শত মানুষের পিছনে হেঁটেও আজও তার কপালে ঝোটেনি সরকারের বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা। আর কত বয়স হলে তার কপালে ঝোটবে বয়স্ক ভাতা। রাজনৈতিক, এলাকার সুধীজন ও জনপ্রতিনিধিদের ধারে ধারে দীর্ঘ দিন ছুটাছুটি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার মেয়ে ফাহিমা বেগম তার বৃদ্ধ মা’কে নিয়ে উপস্থিত হন ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে। বৃদ্ধ মা কথা বলতে পারছে না। তার পক্ষে মেয়ে ফাহিমা তার মায়ের জীবন সংগ্রাম নিয়ে কথা বলছেন সাংবাদিকদের কাছে। তিনি জানান, আমার মা আমার জন্মের পর থেকে অন্যের ঘরে ঝি’য়ের কাজ করে কোন দিন খেয়ে বা না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। জন্মের পর থেকে তিনি তার বাবা কে দেখেননি। তার মা এই বৃদ্ধ বয়সে এখন আর কাজ করতে পারে না। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমিও অসহায় হয়ে পড়েছি। নিজের সংসার চালিয়ে মায়ের মুখে এক মুঠো ভাত তুলে দিতে বহু কষ্ট হয়। বৃদ্ধ বয়সী মাকে নিয়ে বহুজনের কাছে হেঁটেছি একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য। আজও মায়ের কপালে সরকারের দেয়া কোন ভাতা কিংবা সুযোগ, সুবিধা ঝোটেনি। বৃদ্ধ অসুস্থ মাকে নিয়ে আমি কঠিন জীবন- যাপন করছি। মায়ের এই শেষ বয়সে আপনাদের লেখা-লেখিতে যদি কারও সদয় দৃষ্টি আমার মায়ের প্রতি পড়ে তার জন্য এখানে এসেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন- স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও নেতাদের কাছে মাকে নিয়ে ভাতার কার্ডের জন্য বললে তারা বলেন অনেক টাকা লাগবে। আমরা গরীব মানুষ এতো টাকা কোথায় পাবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন