শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

তিস্তার চরাঞ্চলে জুয়ার আসর অশ্লীল নৃত্য

প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে দীর্ঘ ৫ মাস যাবত অশ্লীল নৃত্য ও জমজমাট জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ দুই উপজেলার কতিপয় সমাজবিরোধী জুয়াড়ি অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া খেলার আয়োজন করে আসছে। স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিবাদ জানালেও তারা তোয়াক্কা করছে না। অভিযোগ প্রকাশ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জিগাবাড়ীচর এবং উলিপুর উপজেলার সন্তোষ অভিরাম ও বিরহীম গ্রামের চরাঞ্চলে গত জুন মাস থেকে অদ্যবধি জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য চলছে। সেই সাথে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে এলাকার লোকজন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। এক দিকে রাতে মাইকে ঝুমুর ঝুমুর আকাশ ফাটা শব্দ অন্যদিকে বাড়ি চুরির ভয়ে রাতের ঘুম হারাম হয়েছে চরবাসির। অনেক স্কুল কলেজগামী ছাত্র ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও উঠতি বয়সের যুবকরাও বিপথগামী হচ্ছে। এমতাবস্থায় চরাঞ্চলের জনগণ এক জোট হয়ে পরপর দুই বার গান ও জুয়ার আসর ভেঙে দিলেও পরবর্তীতে জুয়াড়িরা বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে অবাধে জুয়া ও গান চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে নৌপথে জুয়ার আসরে খেলতে যাচ্ছে। উলিপুর ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাঝে-মধ্যে জুয়া ও গানের আসর ভেঙে দিলেও চলে যাবার পরেই আবারও আসর বসাচ্ছে জুয়াড়িরা। অনেক লোক ইতোমধ্যে জুয়ার খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত¦Í হয়েছে। প্রতি রাতে কয়েক লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। গানের নর্তকীরাও দেহ ব্যবসা করছে। উঠতি বয়সের যুবকরাই নর্তকীদের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে সুন্দরগঞ্জের জিগাবাড়ী ও উলিপুরের সন্তোষ অভিরাম এবং বিরহীম চরাঞ্চলের ১৩৯ ব্যক্তি সহি/স্বাক্ষর করে ১৪ জুয়াড়ির বিরুদ্ধে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, সুন্দরগঞ্জ ও উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পৃথক পৃথকভাবে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে অভিযুক্ত জুয়াড়িরা হচ্ছে উলিপুর উপজেলার বজরা গ্রামের মুকুল, বিরহীম গ্রামের মোনতাজ, ইউনুছ, জিয়াদ আলী এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেকরীর চর গ্রামের নয়া মিয়া, রামডাকুয়া গ্রামের রহিম, জিগাবাড়ী গ্রামের বকুল মন্ডল, হবিবর রহমান, শাহআলম, মাইদুল ইসলাম, ফারুক মিয়া, নায়েব আলী, সাহেব আলী ও খোর্দ্দা গ্রামের আঃ রহিম। এ অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় সুন্দরগঞ্জ ইউএনও (ভারঃ) হাবিবুল আলমের সাথে। তিনি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতেই থানা পুলিশ দুই দিন অভিযান চালিয়েছে। তিনি আরও জানান, দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় জুয়াড়িরা সহজেই পালিয়ে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন