বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

স্কুল বন্ধের প্রতিবাদে ছাত্রীদের মানববন্ধন

সোনাগাজী মুন্সি খুরশীদ আলম বালিকা বিদ্যালয়

সোনাগাজী (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

সোনাগাজী মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা বিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদে সোনাগাজী পৌর সভার জিরো পয়েন্টে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা গতকাল রোববার সকালে মানববন্ধন করে ও সোনাগাজী নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে।
জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার পূর্ব তুলাতুলি গ্রামে গড়ে ওঠা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্প‚র্ণ বিনা খরচে বৃত্তি সহকারে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল ঝরেপড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন মুন্সি খুরশীদ আলমের সুযোগ্য সন্তান ব্যারিস্টার নুরুল হক ও আনোয়ারা বেগম হক দম্পতি। ২০১৫ সালে গড়ে উঠা মুন্সি খুরশিদ আলম জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রূপ নেওয়ায় এলাকায় শুরু হয়েছিল নতুন দিগন্তের।
প্রতিষ্ঠাতা ব্যরিস্টার নুরুল হক দম্পতি গ্রামবাসীকে জানিয়েছিলেন কখনো তারা মারা গেলও বন্ধ হবে না এই প্রতিষ্ঠান তার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ ও অর্থ তারা রেখে যাবেন। কোন খরচ বহন করতে হবে না শিক্ষার্থীদের। এই কথায় আস্থা রেখেছিল গ্রামবাসী, গত পাঁচ বছরে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে পড়ালেখা করে আসছেন। গত দুই বছরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল দুটি ব্যাচ, এবারও রয়েছে ১৫ জন পরীক্ষার্থী। হঠাৎ বিদ্যালয়ের সভাপতি ব্যারিস্টার নুরুল হকের ভাতিজা আহমদ আল আক্তার এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের ঘোষণা প্রদান করেন ও সকল শিক্ষার্থীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। হঠাৎ স্কুল বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা বাকরুদ্ধ।
ওই দিকে খবর আছে ব্যারিস্টার নুরুল হক দম্পতি চরম অসুস্থ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, অসুস্থ নুরুল হক দম্পতিকে ভুল-ভাল বুঝিয়ে তার ভাতিজা স্কুল বন্ধ করে সম্পত্তি আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল কামাল সিদ্দিক জানান, বর্তমানে বিদ্যালয় ১৬৪ জন শিক্ষার্থী ৯ জন শিক্ষক
১ জন অফিস সহকারী রয়েছে। এখানে শিক্ষার মান ফলাফল সন্তোষজনক। হঠাৎ দৃশ্যমান কোনো কারণ ছাড়া বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আমাদের মর্মাহত করেছে।
বিবি ফাতেমা মাহি নামের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী জানান, ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়ছি কিছুদিন পর পরীক্ষা, হঠাৎ স্কুল বন্ধের ঘোষণা কোন মতেই মেনে নিতে পারছিনা। জেসমিন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিনামূল্যে পড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ভর্তি করিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তামান্না নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করছেন, বলা হয়েছিল এ বিদ্যালয় কখনো বন্ধ হবে না!
ওই বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আহমদ আল আক্তার এর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সোনাগাজীতে কর্মরত নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন