দুর্বল হয়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ কেটে গেলেও এর পরবর্তী লঘুচাপের বর্ধিত প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবারও দেশের অনেক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কুমিল্লায় ৫১ মিলিমিটার।
এছাড়া ঢাকায় ১১, মাদারীপুরে ১৫, গোপালগঞ্জে ৭, চট্টগ্রামে ১০, রাঙ্গামাটিতে ২০, চাঁদপুরে ৪২, নোয়াখালীতে ১৪, ফেনীতে ১০, কুতুবদিয়ায় ২২, শ্রীমঙ্গলে ৩১, মংলায় ৫, যশোরে ১০, বরিশালে ১৫, ভোলায় ১৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এরআগে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুমিল্লায় ১২৪ মি.মি.। এছাড়া ঢাকায় ১০৪, যশোরে ১২২, ফরিদপুরে ৯৭, চট্টগ্রামে ৭৮, সাতক্ষীরায় ৪৮, বরিশালে ৪৬, ভোলায় ৫৩, চাঁদপুরে ৭৯, কুতুবদিয়ায় ৬৭ মি.মি.সহ অধিকাংশ স্থানে হালকা, মাঝারি, ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু স্থানে এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩১.৪ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৪.৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ২৩.৩ এবং সর্বনিম্ন ২০.৩ ডিগ্রি সে.। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশ উপক‚লীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। চট্টগ্রামসহ চার সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, অকালে অতিবৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় জমিতে এখনও পানি জমে আছে। এতে করে ফল-ফসল, শাক-সবজির ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক। তাছাড়া টানা কয়েকদিনের মেঘাচ্ছন্ন ও গুমোট আবহাওয়ায় ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বেড়ে গেছে।
সোমবার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত আরো যেসব জেলা-উপজেলায় অকালে বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে হাজার হাজা হেক্টর জমিতে পাকা, আধপাকা আমনধান, জমিতে কেটে রাখা ধানসহ বোরো বীজতলা প্লাবিত হয়ে ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরিষা, ভুট্টা, তৈলবীজ, বাদাম, মসুর, পেঁয়াজ-রসুন, আদা, আলুসহ শীতকালীন শাক-সবজির। ফসল, সবজির জমিতে পানি জমে আছে। অনেক জায়গায় বীজ আলু মটির নিচে ভিজে পঁচে গেছে। কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন