বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : সংশ্লিষ্টদের ভুলে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭ এসএসসি পরীক্ষার্থী। গেল বছরের প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা দেয়ায় ফলাফল না আসার আশঙ্কায় রয়েছে এমনই অভিযোগ করেেেছন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতাগী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ও বেতাগী বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ভেন্যুতে ২০১৪ সালের প্রশ্ন পত্রে অনিয়মিত ৮ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। এ অবস্থার শিকারে গত শুক্রবার পর্যন্ত কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা কান্নাকাটি করেন। ওই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ জনের নাম মো. সুরাইয়া আক্তার, ফেরদৌসী আরা সেতু, নমিতা রানী দাস। সংশ্লিষ্টদের গড়িমসির কারণে অপেক্ষা করেও বাকি ৫ জনের নাম সংগ্রহ করা যায়নি। তারা ২০১৩-২০১৪ শিক্ষা বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিল। ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাংলা বিষয় অকৃতকার্য হয়। বেতাগী বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে শিক্ষার্থী মো. সুরাইয়া আক্তার, হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী ফেরদৌসী আরা সেতু, ফুলতলা বিকাশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে নমিতা রানী দাস এ বছর অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে বাংলা পরীক্ষায় আংশ নেয়। পহেলা ফ্রেরুয়ারি এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কক্ষ পরিদর্শক বলেন, ২০১৩-২০১৪ শিক্ষা বর্ষের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রশ্ন দিয়ে ওই ৮ জনের পরীক্ষা নেয়ার কথা কিন্তু তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষের পাঠ্যক্রমের আলোকে করা- প্রশ্নে। তাই ওই দিন ৮ শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার আশঙ্কা বেশি। পরীক্ষার্থী ফেরদৌস আরা সেতু জানায়, ‘পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আধা ঘণ্টার মধ্যে সিলেবাসের সংঙ্গে প্রত্যেকেই প্রশ্নের মিল না পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সংশিষ্টদের কে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু তারা ওই প্রশ্ন পত্রেই পরীক্ষা দিতে বলেন। আমার পরীক্ষা ভাল হয়নি। সকলেরই একই অবস্থা। খাতায় যা লিখেছি তাতে পাস করা অসম্ভব। ৩ পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের কোন সহযোগিতা মেলেনি। ২০১৪ সালের প্রশ্ন পত্রে মেয়েরা পরীক্ষা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা ভাল হয়নি। তাদের ভাল রেজাল্ট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছি। বেতাগী বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ভেন্যুর সহকারী কেন্দ্র সচিব মো.আব্দুর রহিম বলেন, ‘এ বিষয় বলতে অপারগ। সচিবই এ বিষয়ে ভাল বলতে পারেন।’ কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ বলেন, ‘বোর্ড থেকে যেভাবে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে, সেভাবেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র হেরফেরে কোন সমস্যা নাই। দুই ফ্রেরুয়ারি বোর্ড থেকে এ বিষয় একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন