খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় জালিয়াপাড়াতে পিলাক খালের ওপর সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক শত পরিবার। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে স্থানীয়রা।
চলাচলে মাঝে মধ্যেই নানা দুর্ঘটনাসহ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এতে জনগণের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। ওপর মহলের বারবার আবেদন করেও কোন প্রকার সাড়া পায়নি এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য যে, গত মৌসুমে একটি খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজুরী চৌধুরী দুর্গম এলাকাটির জন্য একটি কালবার্ট বরাদ্দ এর আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু আশ্বাস পাওয়ার প্রায় দেড় বছর পরও কোন সুফল পাননি এলাকাবাসি। এলাকার বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেও কোন ফল পাননি। এ খালের ওপর কোন সেতু না থাকায় ঝুঁঁকিপূর্ণ বাঁশের এই নড়বড়ে সাঁকোই দু’পাড়ের গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন। একসাথে অনেক মানুষ পারাপারের সময় অরক্ষিত এই সাঁকো থেকে নিচে পড়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
অন্যদিকে, দু’পাড়ে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদেরও মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। বিগত কয়েক যুগ ধরে এ সাঁকোটি ৫/৭ বার ভেঙে খালে পড়ে যায় তখনকার সময়ও সরকারিভাবে তারা কোন সেতুর বরাদ্দ পাননি এলাকাবাসী। তবে এবার পেলেও তারা কোন সুফল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন অনেকে।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলে চাপ সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন