কামরুল হাসান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে : তফসীল ঘোষণা না হলেও নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই বেশি আগ্রহ হচ্ছেন তারা। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এবার বান্ধাবাড়ী, রামশীল, শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে ১২ সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দলীয় ও ব্যক্তি পরিচয় তুলে ধরছেন, জনসাধারণের মন গলাতে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন তারা। এবার প্রথমবার দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী হয়েছেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দলীয় প্রতীক নৌকা না পেলেও তারা কেউ কেউ সাধারণ ভোটারদের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন। সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, দল থেকে যাকে সমর্থন দিবে আমরা তাকেই ভোট দিব। নির্বাচন সামনে রেখে যারা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা হলেন বান্ধাবাড়ী ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আতিকউজ্জামান বাদল তিনি জানিয়েছেন, দলের প্রতি আমার যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে এতে আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য মহব্বত আলী গোলদার বলেন আশা করি দল আমাকে সমর্থন দিবে। সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সিরাজুল ইসলাম শেখ দলীয় সমর্থন আশা করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিক তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী। বর্তমান চেয়ারম্যান খোকন বালা তিনি ও দলীয় সমর্থন প্রত্যাশা করেন। ঢাকা ৩৬ নং ওয়ার্ড উত্তর রামপুরা যুবলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক স্বপন সমদ্দর তিনি ও মনোনয়ন চান। কোটালীপাড়া এসএলআর কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক এমবিবিএস ডা. জাহিদ হোসেন রিন্টু বলেন, জনগণের কল্যাণের স্বার্র্থে আমি যে সেবা দিয়ে যাচ্ছি তাতে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আশা করি। বর্তমান চেয়ারম্যান মনিন্দ্র নাথ হালদার তিনিও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। এদিকে শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার মধু’র নাম ও শোনা যাচ্ছে। তিনিও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন বলে যানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন