কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে
শীতের আগমনের অপেক্ষায় কাপ্তাইয়ের বিনোদন পর্যটন কেন্দ্রগুলো নানান রঙে সাজিয়ে প্রাকৃতি প্রেমিদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। প্রাকৃতিক সৌন্দার্যের লীলাভূমি রূপের রাণী কাপ্তাইয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন সাজসজ্জা দিয়ে কাজ করছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রর দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম হতে কয়েক কিলোমিটার দূরে আসলেই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পর দেখা মিলে কাপ্তাই। আর কাপ্তাইয়ের মধ্যে প্রবেশ করলেই দেখা মিলে দু’পাশজুড়ে রয়েছে অসংখ্য সবুজ গাছ, পাহাড়, বনের নানার জীববৈচিত্র, রাস্তার দু’ধারে বনের পাশে দেখা যায় বানর ও হলুমানসহ নানা প্রজাতির পক্ষি। এবং রাস্তা দু’পাশের মধ্যেদিয়ে পাহাড়ের বুকচিড়ে বয়ে চলছে অপরূপ সৌন্দর্য কর্ণফুলী নদী। এক নজরে দেখা যায় রামপাহাড়, শীতার পাহাড়, দেশের নামকরা চিংমং বড়বৌদ্ধ মন্দির, কর্ণফুলী পেপার মিলস্, জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক, দেশের বৃহত্তর কাপ্তাই হ্রদসহ বিভিন্ন সৌন্দর্য দেখতে দেখতে মনজুড়ে যাবে সকলের। একটু শহর থেকে দূরে স্বস্তির নির্মলের জন্য মনকে সতেজ করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ হতে বহু নামকরা পর্যটকরা ঘুরে গেছে। শুধু তাই নয়, দেশের রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, বিচারপতি, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পর্যটক চেয়ারম্যান ও কাপ্তাইয়ের সৌন্দার্য উপভোগ করেছে। এবং বার বার শীত আসলেই আবার ফিরে আসতে চায় এ কাপ্তাইয়ে। কাপ্তাই যেন সকল পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আয় আয় আমাদের নিকট আয়। এযেন কখনও ভুলার নয়। কাপ্তাই চিংমং গেলে দেখা যায় উপজাতীয় বিভিন্ন লোকদের জীববৈচিত্র তাদের প্রাণের মন্দির। এবং বিজিবি কর্তৃক নিরাপত্তা বেষ্টিত বিনোদনকেন্দ্র ঝুমরেস্তরাঁ, নৌবাহিনী কর্তৃক লেক প্যারাডাইস, বনশ্রী পর্যটনকেন্দ্র, কাপ্তাই বন বিভাগ কর্তৃক ন্যাশনাল পার্ক, পাহাড়ীকা, বিএফআইডিসি কর্তৃক লেকভিউ, এবং লেক প্যারডাইসসহ বিভিন্ন রঙের পর্যটন কেন্দ্র। ইতোমধ্যে এ সকল পযর্টন কেন্দ্রগুলোতে খাবার দাবারের নানা রকমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কাপ্তাইয়ের পর্যটন কেন্দ্রর দায়িত্বরত লোকেরা জানান, বিনোদন কেন্দ্রগুলো আমরা নানান সাজে প্রকৃতির সাথে রঙ মিলিয়ে সাজানোর ব্যবস্থা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এবং পর্যটকদের অপেক্ষায় প্রহরগুনছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন