শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

“সহিংসতা ও চরমপন্থা রোধে ইসলাম ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের গুরুত্ব” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:১৪ পিএম

সহিংসতা, চরমপন্থা, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রোধে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন স্ব-উদ্যোগে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। এব্যাপারে সরকারের যেকোন কর্মসূচীতে দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের ইসলামিক স্কলারগণ আত্মনিয়োগ করবেন। আজ শনিবার, রাজধানীর মহাখালী কমিউনিটি সেন্টারে কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট ফর পিচ এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত “সহিংসতা ও চরমপন্থা রোধে ইসলাম ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের গুরুত্ব” শীর্ষক সেমিনার ও কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, শতকরা ৯০ ভাগ মুসলামনের দেশ বাংলাদেশ। এদেশে সহিংসতা, চরমপন্থা, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোন স্থান নেই। কোরআন, সুন্নাহ’র আদর্শ ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসকল ঘৃণ্য অপরাধ মূলক কর্মকান্ড থেকে দেশ ও জাতীকে রক্ষা করতে হবে। যেখানে ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা অপরিসীম। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথের আনতে পারবে কেবল ইসলামিক স্কলারগণ। সেইসাথে আগামীর প্রজন্ম যাতে এসকল নিগৃহীত কাজ থেকে বিরত থাকে সেজন্য শ্রেণি কক্ষে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নীতি নৈতিকতা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা অতীব জরুরী। একই সাথে দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখগণ নিজ নিজ অঙ্গনে এহেন অপরাধের ভয়াবহতা সম্পর্কে সকলকে অবগত করলে সহিংসতা, চরমপন্থা, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল এর যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ ইলিয়াস শরীফ বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি নির্বিশেষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সকল জাতির জন্য হুমকি এবং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কর্মতৎপরতা দমনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান থাকা সত্ত্বেও কিছু চরমপন্থি ধর্মীয় গোষ্ঠী বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি দেখিয়েছে। আলেম ওলামা ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বগণ নিজেরা সচেতন হয়ে সরকারকে সহযোগিতা করলে দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করা আরো সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট ফর পিস এর নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সেমিনারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামী বিজ্ঞজনদের কাছে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং চরমপন্থারমত নেতিবাচকতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। শুধু তাদের নিজেদের নয় সকল দেশবাসীর মনস্তাত্ত্বিক উন্নতির জন্য ও ইতিবাচক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারা দেশ জুড়ে আমরা এই ধরণের কর্মসূচী পালন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

মুখ্য আলোচক হিসেবে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল এর ডেপুটি কমিশনার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম সহিংসতা ও চরমপন্থা রোধে ইসলাম ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেন। সেমিনার ও কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে আরো বক্তব্য রাখেন, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট ফর পিস এর সিইও মুহাম্মদ ফেরদৌস, পরিচালক মোহাম্মদ জুলফিকার আলী প্রমুখ।

সেমিনারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদরাসা প্রধান, শিক্ষক, খতিব, ইমাম ও ইসলামিক স্কলারগণ উপস্থিত থেকে নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন