জয়পুরহাটসহ জেলার পাঁচ উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার আবাদ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হলুদ সাজের সমাহার আশা জাগাচ্ছে বাম্পার ফলনের। জেলা সদরসহ পাঁচবিবি কালাই আক্কেলপুর এবং ক্ষেতলাল উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে এখন সরিষার হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ। গুণগুণ শব্দে মৌমাছিরা এখন এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বসে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষা জমিতে রোগবালাই কম, ফলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে সদরসহ ৫ উপজেলায় ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দেড় ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের সরিষা চাষি নজির হোসেন বলেন, এ বছর আমি দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। গাছ ও ফুল বেশ ভালো হয়েছে। আশা করি ফলনও ভালো হবে। কাশিয়াবাড়ী গ্রামের সরিষা চাষে আশরাফ হোসেন বলেন, গত বছর জমিতে আলু লাগিয়ে ছিলাম এবার আলুর পরিবর্তে সরিষার চাষ করেছি। তিনি বলেন বাজারে ভোজ্য তেলের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাজারে সরিষার দাম বেশি ভালো তাই এবার ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পাবো।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এর প্রধান কারণ বাজারে সরিষা এবং ভোজ্য তেলের দাম বেশি। গত মৌসুমে আলু চাষ করে অনেকে চাষী মোটা অঙ্কের লোকসান গুনেছে। এবার তারা আলুর আবাদ কমিয়ে দিয়ে জমিতে সরিষার চাষ করেছে। এবার রোগবালাইও অনেক কম। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন